প্রথম কল্প ২৭ চলিয়া গেল! কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকারে ইঙ্গ দৃষ্টি-বিভ্রম কি না স্মিথ তাঙ্গ বুঝিতে পারিল না। সেই প্রান্তরে মেষ চরাইতে আসিয়া কোন মেষপালক সেখানে উপস্থিত হইতেও পারে, ইহাতে দুশ্চিন্তা বা ভয়ের কোন কারণ নাই মনে করিয়া স্মিথ সেই মেষপালকের অনুসরণ করিল না। সে উদ্ধে দৃষ্টিপাত করিল ; নীলাকাশ নিৰ্ম্মল, মেঘসংস্পর্শবিহীন ; পশ্চিম গগনে সে একটি তারকা দেখিতে পাইল, তাঙ্গা তখনও উজ্জ্বল হয় নাই ; স্মিথ বুঝিতে পারিল আর কয়েক মিনিট পরেই গগনমণ্ডল শুভ্রজ্যোতি নক্ষত্ৰ-নিকরে বিভূষিত হইবে। নাতালী মোটর-বাইকের পাশের গাড়ীতে উঠিয়া বসিলে স্মিথ তাঙ্গর গাত্রস্থিত ওয়েদার-প্রফ আচ্ছাদনের ( weather-proof apron ) বোতাম আঁটিয়া, তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ একখানি ‘রগ’ দিয়া ঢাকিয়া দিল। তাঙ্গর পর গাড়ীতে উঠিয়া প্রথমে ধীরে ধীরে বাইক চালাইতে লাগিল। কয়েক মিনিট পরে মোটর-বাইক পূর্ণ বেগে চলিতে আরম্ভ করিল। প্রান্তর-প্রান্তস্ত পলমুর গ্রামে উপস্থিত হইতে অধিক বিলম্ব হইল না। স্মিথ গ্রামে প্রবেশ করিয়া, পথের মোড় ঘুরিয়া আর একটি পথে প্রবেশ করিল। সেখান হইতে কয়েক শত গজ দূরে পথের দক্ষিণাংশে সে গ্রাম্য হোটেলটি দেখিতে পাইল । স্মিথ হোটেলের ঠিক সম্মুখে না আসিয়া, একটু দূরে থাকিতেই মোটর-বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ করিল, এবং নাতালীকে কয়েক মিনিট গাড়ীতে অপেক্ষা করিতে বলিয়া, বাইক হইতে নামিয়া হোটেলে প্রবেশ করিল। সে ফোটেলের বৈঠকখানায় উপস্থিত চইয়া একটি স্কুলাঙ্গী প্রৌঢ়াকে দেখিতে পাইল। স্মিথ বুঝিতে পারিল এই প্রৌঢ়াই হোটেলওয়ালী ; কিন্তু সে কোন কথা বলিবার পূৰ্ব্বেই প্রৌঢ়া তীক্ষ দৃষ্টিতে তাঙ্গর আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিয়া, উঠিয়া তাঙ্গকে অভিবাদন করিল। স্মিথ তাহাকে প্রত্যভিবাদন করিয়া বলিল, “একৃসিটার হইতে তোমাকে টেলিগ্রাম করিয়া জানাইয়াছিলাম—এগানে আমি কয়েকদিন বাস করিব ; সেজন্ত আমার একটি কুঠুরীর প্রয়োজন। আমার সেই টেলিগ্রাম তুমি পাইয়াছিলে কি ?” o প্রৌঢ় বলিল, “ই মহাশয়, আপনার টেলিগ্রাম পাইয়াই আপনার জন্তু একটি
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।