8e বন্দিনী রাজনন্দিনী একটা নাম ধরিয়া ডাকিল ; বুঝিলাম সে আপনার ভগিনীর চেনা-মানুষ। আপনার ভগিনী সেই ডাকাতটার চেহারা দেখিয়াই ভয়ে কাঠ ! তাহার পর তাহার হুঙ্কার শুনিয়া আর নীচে না আসিয়া সিড়ি দিয়া উঠিয়া চোচা দৌড় ! তা দৌড়াইয়া পলাইলে কি যমের হাতে নিস্কৃতি আছে ?—সেই বিকট দেড়েটা যেন আস্ত যম । আপনার ভগিনী সিড়ি দিয়া উঠিয় তাহার ঘরের দরজার কাছে যাইতে না যাইতেই, দেড়েটা তিন লাফে সিড়ি পার হইয়া তাহাকে ধরিয়া ফেলিল ! আঃ, মেয়েটির কি বুকফাটা আৰ্ত্তনাদ । তাহা শুনিলে পাতরও ফাটিয়া যাইত ; কিন্তু সেই ডাকাতটা দুই হাতে র্তাঙ্গকে শূন্তে তুলিয়া কাধে ফেলিল, তাহার পর সজোরে জড়াইয়া ধরিয়া সিড়ি দিয়া হুড়-মড় করিয়া নামিয়া আসিল । মেয়েটিকে কাদিতে দেখিয়া আমার বড় দুঃখ হইল ; আমি সেই দেড়ে ডাকাতটাকে বলিলাম, ‘তুমি কি রকম ভদর লোক বাছা ! কোন আক্কেলে তুমি আমার ভাড়াটেকে ওভাবে ধরিয়া লইয়া যাইতেছ? অামারহোটেলে এরকম অত্যাচার হইতে দিব না; পুলিশ ডাকিয়৷ তোমাকে ধরাইয়া দিব। —আমার কথা শুনিয়া ডাকাতটা দণত বাক্তির করিয়া আমাকে কামড়ায় আর কি ! প্রাণের ভয়ে আমি সরিতে না সরিতে স এক ধাক্কায় আমাকে চিত করিয়া ফেলিয়া-দিয়া হোটেল তইতে বাহির হইয়া পড়িল ; আমি উঠিয়া বসিয়া দেখিলাম—সে মেয়েটিকে তাঙ্গর গাড়ীতে বসাইয়া দুই হাতে চাপিয়া ধরিয়া রহিল ; আর একটা ডাকাত ভো-শব্দে বাশি বাজাইয়া গাড়ী লইয়া সরিয়া পড়িল —আপনি কি বলিতে পারেন—সেই দেড়েটা কোন অধিকারে আপনার ভগিনীকে জোর করিয়া ধরিয়া লইয়া গেল ?” স্মিথ মাথা নাড়িয়া বলিল, “ন, তাহার অনিচ্ছায় তাহাকে জোর করিয়া ধরিয়া লইয়া যাইবার অধিকার কাহারও নাই। সেই লোকটা তাহার কাকা। কাক৷ হইলেই কি ভাইঝির উপর ও রকম অত্যাচার করিতে পারে? এখন তোমাকে একটা কাজ করিতে হইবে মিসেস ফিলিপস ! আমি তোমার সাহায্য চাই ; তুমি আমাকে সাহায্য করিতে রাজী আছ কি না ?” স্মিথ জানিত এ সকল স্থানে কেবল মুখের কথায় কাজ হয় না ; বিশেষতঃ, ইংলণ্ডের পশ্চিমাঞ্চলে কাহারও নিকট কাজ আদায় করিতে হইলে পকেট হইতে
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।