8९ বন্দিনী রাজনন্দিনী সম্মত হও—তাহা তইলে আমি তোমাকে উপযুক্ত পুরষ্কার দান করিব। আমি দিকে গিয়াছে তাহা আগে আমার জানা আবশ্রাক ৷” _. হোটেলওয়ালী বলিল, “মোটরখানা চলিতে আরম্ভ করিলে, তাহা কোন দিকে যায়—দেখিবার জন্ত আমি দৌড়াইয়া পথে বাহির হইয়াছিলাম। গাড়ীখানা সদর রাস্ত দিয়া দক্ষিণ-মুখে গিয়া বাধারে ঘুরিয়াছিল। সেই পথ প্রান্তর ভেদ করিয়া পলটরের দিকে গিয়াছে। আপনি কাল এখানে আসিবার সময় বোধ হয় সেই পথ দেখিয়াছিলেন। মাঠের ভিতর হইতে অনেক দূরে টর পাহাড় দেখা যায়। সেই স্মিথ পূৰ্ব্বদিন প্রান্তর-পথে ভ্রমণ করিবার সময় বহুদূরে টর পাহাড়ের ধূসরাভ উচ্চ শৃঙ্গ দেখিতে পাইয়াছিল।—সে বলিল, “হা, টর পাহাড় দেখিয়াছি।” স্মিথ তৎক্ষণাৎ দোতলায় উঠিয়া তাহার ঘরে প্রবেশ করিল, এবং ব্যাগের ভিতর হইতে দূরবীণ বাহির করিয়া পকেটে ফেলিল ; তাহার পর সে তাড়াতাড়ি উপযোগী করিয়া লইল । মোটর-সাইক্লের পাশের গাড়ীখানিকে সে এই সৰ্ব্বপ্রথম একটা উপসর্গ মনে করিল। সেই গাড়ীখানি পাশে বাধা না থাকিলে সে ঝড়ের মত বেগে নাতালীর অনুসরণ করিতে পারিত ; কিন্তু পাশের গাড়ী লইয়া মোটর-সাইক্ল সেরূপ প্রচণ্ড বেগে চালাইবার উপায় ছিল না। আবার তখনই তাহার মনে হইল—পাশের গাড়ী না থাকিলে বহুদূরবর্তী প্রান্তর-পথ হইতে নাতালীকে সেই গেটেলে লইয়া আসাও তাহার অসাধ্য হইত। সুতরাং ক্ষোভের কোন কারণ নাই বুঝিয়, সে আর সময় নষ্ট না করিয়া মোটর-সাইক্লে উঠিয়া বসিল, এবং মূহূৰ্ত্তমধ্যে চলিতে আরম্ভ করিল। প্রথম কয়েক মিনিট স্মিথ তেমন দ্রুতবেগে চলিল না ; গ্রামের সীমা-প্রান্তে প্রান্তরসন্নিহিত একটা তেমাথায় আসিয়া সে শকট-বেগ বৰ্দ্ধিত করিল, এবং ঘণ্টায় পঞ্চাশ মাইল বেগে চলিতে লাগিল। অবশেষে মোটরের ইঞ্জিন গরম হইয়া উঠিলে, সে প্রতি মিনিটে এক এক মাইল পথ অতিক্রম করিতে লাগিল ।
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।