বন্দিনী রাজনন্দিনী বলিলেন—একটি বালিকা রাগ করিয়া তাহার বাড়ী হইতে চলিয়া গিয়াছে ; সে প্রাস্তরে প্রবেশ করিয়াছে—এ সংবাদ ও তিনি জানিতে পারিয়াছেন। গোমেষাদির পাল লইয়া যখন তাহারা সেই প্রান্তরে চরাষ্টতে যাইবে সেই সময় তাহাদের প্রত্যেকে মাঠের বিভিন্ন অংশে মেয়েটকে খুজিতে থাকিবে । এই ভাবে খুজিতে খুজিতে কেহ না কেহ তাঙ্গকে দেখিতে পাইবেই। যাহারা তাহার সন্ধান করিতে পরিবে—তিনি তাহাদিগকে প্রচুর পুরস্কার দানে প্রতিশ্রুত হইলেন । পুরস্কারের লোভে সেই রাখালের দল পশুর পাল মাঠে ছাড়িয়া-দিয়া প্রান্তরের এক এক দিকে নাতালীকে খুজিতে আরম্ভ করিল। পূৰ্ব্বদিন অপরান্ত্রে প্রান্তরমধ্যবৰ্ত্তী পথের ধারে তৃণরাশির উপর কম্বল প্রসারিত করিয়া স্মিথ যখন নাতালীর সঙ্গে চা পান করিতেছিল, তখন দুইজন রাখাল অদূরবত্তী গুন্মের অন্তরালে লুকাইয়া থাকিয় তাহদের দেখিতেছিল, এবং স্মিথ নাতালীকে পাশের গাড়ীতে তুলিয়া লইয়া হোটেলের দিকে ধাবিত হইলে তাঙ্গরা তাঙ্গাদের অনুসরণ করিয়াছিল। স্মিথ ইহা জানিতে পারে নাই, এবং নাতালীও তাহা বুঝিতে পারে নাই । স্মিথ নাতালী-সহ পলমুরের হোটেলে উপস্থিত হইয়। সেখানে বাসা লইলে, একজন রাখাল প্রিন্স রাডিশ্নভকে এই সংবাদ পাঠাইবার জন্য তৎক্ষণাৎ র্তাহার আডডায় চলিয়া গেল। দ্বিতীয় রাখাল হোটেলের পরিচারিকার নিকট স্মিথের নাম ধাম প্রভৃতি জানিয়া লইয়া, দূরে থাকিয় তাহদের পাহার দিতে লাগিল । প্রিন্স রাডিশ্লভ রাখালের নিকট নাতালীর সংবাদ পাইয়। পরদিন প্রভাতে একখানি সুবৃহৎ কৃষ্ণবর্ণ মোটর-গাড়ীতে পলমুরের হোটেলের সন্মুখে উপস্থিত হইলেন ; স্মিথ-তখন মিঃ ব্লেকের নিকট টেলিগ্রাম করিবার জন্ত স্থানীয় ডাকঘরে গিয়াছিল। সে ডাকঘরের বারানা হইতে সেই মোটর-গাড়ী দেখিলেও মোটরের আরোহীদের দেখিতে পায় নাই, এবং তাহা কি উদ্দেশ্যে সেই গ্রামে প্রবেশ করিয়াছিল—তাহাও বুঝিতে পারে নাই। প্রিন্স রাডিশ্লভ নাতালীকে বলপূৰ্ব্বক গাড়ীতে তুলিয়া লইয়া প্রস্থান করিবার কিছুকাল পরে যখন স্মিথ মোটর
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।