а е বন্দিনী রাজনন্দিনী সকল কথা শুনিয়া মোটর-সাইক্লে তাহার ভগিনীর সন্ধানে গিয়াছে ; সেই সকলে গিয়াছে, এখনও ফিরিয়া আসিল না। একটু আগে আর একজন লোক অন্ত একখানি মোটরসাইক্লে আসিয়া আমাকে বলিল—সেই যুবকই তাহাকে কি একটা জিনিস লইতে পাঠাইয়াছে। লোকটা জোর করিয়া দোতলায় গিয় তাহার ঘরে ঢুকিয়াছে –এ সকল কি কাও, আমি বুঝিতে পারিতেছি না !” হোটেলওয়ালীর কথা শুনিয়া মিঃ রেকও কিছুই বুঝিতে পারিলেন না। তিনি হোটেলওয়ালীর সঙ্গে পাশের একটি কক্ষে প্রবেশ করিলেন, এবং অন্ত কেহ তাহার কথা শুনিতে না পায়—এই উদ্দেশুে দ্বার রুদ্ধ করিয়া হোটেলওয়ালীকে বলিলেন, “মাদাম, তোমাকে দুই একটি কথা বলিব, মন দিয়া শোন। কাল সন্ধ্যার পর ছেয়ে-রঙ্গের মোটরসাইক্লে যে যুবক তোমার হোটেলে আসিয়া ঘর ভাড়া লইয়াছিল—আমি তাহারই অভিভাবক। সে আজ এখান হইতে টেলিগ্রাম করিয়া, কোন বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে এখানে আসিতে অনুরোধ করিয়াছিল। তোমার কথা শুনিয়া বুঝিলাম, এখানে আসিয়া সে কোন বিপদে পড়িয়াছে ; কিন্তু তুমি সকল কথা খুলিয়া না বলিলে, প্রকৃত ব্যাপার কি, তাহ স্থির করিতে পারিতেছি না। আমি সেই যুবকের অভিভাবক, সুতরাং আমার নিকট কোন কথা গোপন করিবার প্রয়োজন নাই ।” হোটেলওয়ালী ক্ষণকাল নিস্তব্ধ থাকিয়া বলিল, “আপনাকে ত মোটামুটী সকল কথাই বলিয়াছি ; আপনি কথাগুলি আরও স্পষ্ট ভাবে শুনিতে চান ? তবে শুঙ্গুন, প্রথম হইতে সকল কথা আপনাকে খুলিয়া বলি।” “কাল সন্ধ্যার সময় সেই যুবকটি তাহার ভগিনীকে মোটর-সাইক্লের পাশের গাড়ীতে বসাইয়া সাইকেল চালাইয়া আমার হোটেলে উপস্থিত হইল । সে প্রথমে একখানি ঘরের জন্তই টেলিগ্রাম করিয়াছিল ; তখন না কি তাহার ভগিনীর আসিবার কথা ছিল না। তাছার ভগিনী সঙ্গে আসিয়াছিল বলিয়া সে দুইটি কুঠুরী ও একটি বসিবার ঘর ভাড়া চাহিল। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা ষয়ে তাহার প্রার্থনা পূর্ণ করিলাম। তাহাদিগকে কোন রকম অসুবিধা সহ
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।