\ छुखैौघ्रं कर्झ q) করিতে হয় নাই। শুনিলাম তাহার কয়েক দিন আমার হোটেলে বাস করিবে । মনের মত বাসা পাইয় তাহারা উভয়েই খুলী হইল। “যুবকটি এখানে আসিয়াই আমাকে জিজ্ঞাসা করির ছিল—কালই এখান হইতে টেলিগ্রাম পাঠাইবার সুবিধা হইবে কি না ? তাহার কথা শুনিয়া আমি বলিলাম, সন্ধ্যার পূর্বেই ডাকঘর বন্ধ হইয়া গিয়াছে ; সকালে টেলিগ্রাফ অফিস খুলিলে টেলিগ্রাম পাঠাইতে পরিবে। আজ সকালে উঠিয়াই যুবকটি টেলিগ্রাফ আফিসে চলিয়া গেল। তাহার অল্পকাল পরে একখানি কালরঙের প্রকাও মোটরগাড়ী আমার দরজায় আসিয়া থামিল। যুবকের ভগিনী তখনও নীচে আসে নাই। মোটরগাড়ীখান আমার দরজায় থামিল দেখিয়া, আমি দরজার সম্মুখে গিয়া মোটরের আরোহীকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তিনি কি উদ্দেশ্রে আমার দরজায় গাড়ী থামাইয়াছেন ? আমার হোটেলে তাহার কি কোন প্রয়োজন আছে ?— মোটর-গাড়ীর আরোহী গাড়ী হইতে নামিয়া, আমার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়া, আমাকে ধাক্কা মারিয়া দরজা হইতে সরাইয়া দিল ; তাঙ্গর পর ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়া, সিড়ি দিয়া দোতলায় উঠতে লাগিল। সেই সময় মেয়েটি তাহার ঘর হইতে বাহির হইয়া নীচে আসিতেছিল। 嘯 “ভদ্রলোকটির মুখে সাদা দাড়ি-গোফ দেখিয়া বুঝিয়াছিলাম লোকটি বৃদ্ধ, কিন্তু সে প্রকাও জোয়ান, হাতীর মত বলবান! তাহাকে সিড়ি দিয়া উঠিতে দেখিয়া মেয়েট ভয় পাইয় তাহার ঘরের ভিতর পলায়ন করিতে উদ্ধত হইল ; কিন্তু সেই গুফে লোকটি এক লাফে তাঙ্গর পশ্চাতে গিয়া তাহাকে দুইহাতে জড়াইয়া ধরিল ! মেয়েট চিৎকার করিয়া কাদিতে লাগিল, কিন্তু জোয়ানটা তাহার আৰ্ত্তনাদে কর্ণপাত না করিয়া তাহাকে কঁধে ফেলিল, তাহার পর সিড়িদিয়া তাড়াতাড়ি নীচে নামিয়া আসিল । তাহার এই অন্তায় কাজ দেখিয়া আমার বড় রাগ হইল! বাধা দেওয়ার জন্ত আমি তাহার পথরোধ করিয়া দাড়াইলাম। কিন্তু সে এক ধাক্কায় আমাকে ফেলিয়া দিয়া, মেয়েটিকে লইয়া মোটর-গাড়ীতে উঠিল, তাহার পরই মোটর লইয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে প্রস্থান !—সে আমাকে কোন কথা বলিবার অবসর দিল না
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।