পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९ বন্দিনী রাজনন্দিনী “অল্পক্ষণ পরে যুবকটি ডাকঘর হইতে ফিরিয়া আসিলে, আমি সকল কথাই তাহাকে বলিলাম । সেই সকল কথা শুনিয়া সে অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া উঠিল, আমাকে বলিল, যে লোকটা তাঙ্কণর ভগিনীকে জোর করিয়া ধরিয়া লইয়া গিয়াছে, সে মেয়েটার অভিভাবক, তাহণকে ধরিয়া লইয়া যাইবার তাহার অধিকার থাকিলেও সেই অভিভাবকটির অভিসন্ধি ভাল নয় ; কাকা হইয়াও সে কোন একটা বদমায়েস বড়লোকের সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার মতলবে তাহার ভাইঝিকে ধরিয়া লইয়া গিয়াছে, মেয়েটি এই বিবাহে অসম্মত । “যুবকটি তৎক্ষণাৎ মোটর-সাইক্লে চাপিয়া মেয়েটিকে দম্য-কবল হইতে উদ্ধার করিবার জন্ত মোটর-গাড়ীর অনুসরণ করিল। মোটর-গাড়ীখান মেয়েটাকে লইয়া কোন দিকে গিয়াছে তাঙ্গ আমিষ্ট তাঙ্গকে বলিয়াছিলাম।—সে সেই সকালে গিয়াছে—এখন পর্য্যন্ত ফিরিয়া আসিল না ! তাহার ও মেয়েটার কি হইল জানিতে না পারিয়া আমার বড়ই দুশ্চিন্তা হুইয়াছে। “যুবকটি ফিরিয়া আসিবে মনে করিয়া আমি পথের দিকে চাহিয়া আছি ; হঠাৎ মোটর সাইক্লের ঘটাঘট শব্দ শুনিয়া আশা হুইল—সে ফিরিয়া আসিতেছে; কিন্তু সে নয়, আর একখানি-মোটর-সাইক্লে আর একটা যুবক আসিয়া উপস্থিত!— এই যুবক বলিল, সে আমার গেটেলের ভাড়াটে যুবকটির নিকট হইতে আসিয়াছে— তাহার ব্যাগে কি জরুরী কাগজ-পত্ৰ আছে তাহাই লইয়া যাইবে । আমি তাহার কথা বিশ্বাস করিতে পারিলাম না ; কিন্তু সে আমার সম্মতির অপেক্ষা না করিয়া তাড়াতাড়ি দোতলায় চলিয়া গেল ; সে বোধ হয় আপনার আত্মীয় যুবকটির ঘরে প্রবেশ করিয়াছে —জানি না—তাহার মতলব কি !” মিঃ ব্লেক বলিলেন, “যে যুবক তোমার ছোটলে বাসা লইয়াছিল তাহার অঙ্গে কি ধূসরবর্ণের পোষাক ছিল ? পায়ে চামড়ার পট্টি, ও বাদামী চামড়ার বুট পরিয়া আসিয়াছিল কি ?” হোটেলওয়ালী বলিল, “ই মহাশয়, আপনার কথাই ঠিক। সবই ত ঠিকঠাক মিলিয়া গেল !” * * মিঃ ব্লেক বলিলেন, “একটা অপরিচিত লোক তাহার ঘরে প্রবেশ করিয়াছে ?”