পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ কল্প し*> “লোকটাকে দেখিয়াই আমার ধারণা হইল, সে কোন দুৰ্দ্দান্ত ও ফন্দীবাজ লোকের ভাড়াটে গুণ্ড, কোনও দুরভিসন্ধিতে সে আমার সহকারীর ঘরে প্রবেশ করিয়াছিল। সে আমাকে দ্বারের নিকট দেখিবামাত্র পকেট হইতে পিস্তল বাহির করিয়া আমাকে গুলী করিতে উষ্ঠত হইল। অগত্যা আমাকেও গুলী-বর্ষণ করিতে হইল । কয়েক মিনিট উভয়ের পিস্তল হইতে গুলী বর্ষিত হইল ; কিন্তু আমরা উভয়েই ঘরের আসবাব-পত্রের আড়ালে লুকাইয়া পরস্পরকে গুলী করায় গুলী কাহারও অঙ্গ স্পর্শ করিল না ; ঘরের আসবাব-পত্র, কাচের জিনিসগুলি চূর্ণ হইল। সে আমাকে হত্যা করিবার চেষ্টা করিলেও আমি তাঁহাকে কেবল খোড়া করিবারই চেষ্টা করিয়াছিলাম। তাহাকে গ্রেপ্তার করাই আমার উদ্দেশ্য ছিল । “অবশেষে আমাদের উভয়েরই পিস্তলের টােটা ফুরাইয়া গেল ; তখন তুমি তাহাকে জড়াইয়া ধরিলাম, এবং উভয়ে মেঝেতে পড়িয়া ধস্তাধস্তি আরম্ভ করিলাম, লোকটা বলবান। আমি তাহাকে ধরিয়া কয়েকটা ঘুসি মারিয়াছিলাম ; কিন্তু সে আমার গলা টিপিয়া ধরিয়া, আমার দম বন্ধ করিয়া মারিবার চেষ্টা করিয়াছিল। বলা বাহুল্য, তাহার সেই চেষ্ট সফল হয় নাই। কিন্তু আমি তাহাকে দীর্ঘকাল আটকাইয়া রাখিতে পারি নাই ; যদি কাহারও সাহায্য পাইতাম তাহ হইলে তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে পারিতাম। সে কৌশলক্রমে আমার কবল হইতে মুক্তিলাভ করিয়া, আমার সহকারীর ব্যাগটা দুই হাতে উদ্ধে তুলিয়া সবেগে আমার বক্ষঃস্থলে নিক্ষেপ করিল ; সেই আঘাতের বেগ সহ করিতে না পারিয়া আমি দুই এক মিনিট উত্থানশক্তি রহিত হইয়া পড়িয়া রছিলাম। সেই সুযোগে গুণ্ডাটা সিড়ি দিয়া নামিয়া দ্রুতবেগে পলায়ন করিল। নীচের ঘরে কেহই তাহাকে বাধা দিতে পারে নাই । আমি আত্মসম্বরণ করিয়া তাহার অনুসরণ করিলাম ; হোটেলের বাহিরে উপস্থিত হইয়া দেখিলাম—সে তাহার মোটরসাইক্লে উঠিয়া সরিয়া পড়িবার চেষ্টা করিতেছে। আমি তাহাকে পুনৰ্ব্বার আক্রমণ করিতে উদ্যত হইলে—সে একখানি ইট দিয়া সবেগে আমার ললাটে আঘাত করিল। ইটখানি সে পূৰ্ব্বেই বোধ হয় পথ হইতে কুড়াইয়া লইয়াছিল। সেই আঘাতে আমি অজ্ঞান হইয়া পড়িলাম। . তাহার পর কি হইয়াছিল—সম্ভবতঃ