পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০২
বরেন্দ্র রন্ধন

১৪৩। আনারসের অম্বল

 পক্ব আনারসের খোসা ছাড়াইয়া এবং চোখগুলি উঠাইয়া ফেলিয়া একটু চূণ মাখিয়া খানিকক্ষণ রাখিয়া দাও। পরে চূণ উত্তমরূপে জলে ধুইয়া ফেলিয়া ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া লও। চূণ মাখিলে এবং চোখ উঠাইয়া ফেলিলে আনারসের মুখ ধরা দোষ নষ্ট হইবে। আশা করি গোটা আনারস কিরূপে প্রথমে চাকা চাকা করিয়া কুটিয়া লইয়া পরে অভ্যন্তরের শক্ত ‘মুষলা’টা বাদ দিয়া ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া লইতে হয় তা অন্ততঃ অনেক পাঠিকাই অবগত আছেন।

 তেলে সরিষা (গোটা) ফোড়ন দিয়া আনারস ছাড়। আংসাও। জল দাও। নুণ, (হলুদ) এবং চিনি দাও। সিদ্ধ করিয়া আবশ্যক মত অল্পাধিক রস রাখিয়া নামাও।

 পাকা কামরাঙ্গা, পাকা কদম ফুল, মূলা প্রভৃতি চাকা চাকা করিয়া কুটিয়া এইরূপে অম্বল রাঁধিবে।

১৪৪। করঞ্জার অম্বল

 ডাগর (প্রায় পক্ব) করঞ্জারই অম্বল ভাল হয়। করঞ্জা দুই ফাঁক করিয়া কুটিয়া বীচি বাহির করতঃ ধুইয়া লইয়া নুণ মাখ। মটর বা খেঁসারীর ডাইলের পানীদলা প্রস্তুত করিয়া লও। তৈলে সরিষা ফোড়ন দিয়া করঞ্জা ছাড়। আংসাও। পানীদলা ছাড়। আংসাও। জল দাও (হলুদ) ও মিষ্ট দাও। সুসিদ্ধ হইলে একটু ঝোল ঝোল রাখিয়া নামাও। পানীদলার পরিবর্ত্তে মটর, খেঁসাড়ী, ছোলা বা বরবটী ডালের ‘বড়ী’ অথবা ‘ফুলবড়ী’ যোগেও এই অম্বল রাঁধা চলে।

 শুধু পানীদলা, বড়া কিম্বা ফুলবড়ীরও এই প্রকারে অম্বল রাঁধা চলে।