বড় গেছের দল পাকাও—কলপাতায় জড়াইয়া বাঁধ। আখার মধ্যে উত্তপ্ত ছাইয়ের মধ্যে রাখ। প্রয়োজনানুরূপ পুড়িলে উঠাইয়া উপরের ছাই ঝাড়িয়া ফেলিয়া ঘৃত অথবা সরিষার তৈল, মুণ ও কাঁচা লঙ্কা মাখিয়া ভাতের সহিত খাও। আবার মটরের ডাইল-বাটার সহিত সরিষাবাটা ও -নারিকেল-কুড়া বাট ও নুণ মিশাইয়া উপরে নীচে কলাপাত দিয়া তাওয়ার উপর রাখিয়া চাপড়ী আকারে পোড়ান যায়।
৪। কুমড়া-বড়ি পোড়া
খড়ের আগুণে কুমড়াকড়ি ঝলম্বাইয়া লও। ফুটন্ত জলে ছাড়। সিদ্ধ হইলে নাম ইয়া জল চিপিয়া ফেলিয়া সরিষার তৈল, নুণ ও কাঁচা লঙ্কা মাখিয়া ভাতের সঙ্গে খাও। তৈল একটু পরিমাণে বেশী মাখিতে হয়।
৫। পটোল পোড়া
পটোল সিদ্ধ অপেক্ষা পোড়াইয়া খাইতেই ভাল। এক বা একাধিক পটোল লোহার সরু লম্বা গোছের শিকে ফুড়িয়া জলন্ত আখার মধ্যে দিয়া শিক ধরিয়া ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া পোড়াও। পুড়িলে বাহির করিয়া শিক হইতে খুলিয়া সাফ করিয়া তৈল, নুণ ও কাচা লঙ্কা মাখিয়া খাও। ইচ্ছা করিলে অল্প কিছু পোড়াইয়া লইয়া পরে জলে বা ভাতে দিয়া সিদ্ধ করিয়া মাখিয়া খাইতে পার
৬। বেগুণ পোড়া
বেগুণ সাধারণতঃ সিন্ধ লুপেক্ষ পোড়াইয়া খাওয়াই প্রশস্ত। উত্তম বড় অথচ জালি দেখিয়া বেণ্ডন লও। গায়ে একটা ছেঁদা করিয়া একটু তৈল মাখাইয়া আবার উত্তপ্ত ছাইয়ে ফেলিয়া পোড়াও। পরে পোড়া অংশ তুলিয়া