ত্রয়োদশ অধ্যায়।।
চাট্নি
চাট্নি প্রধানতঃ দুই প্রকারর (ক) অম্লস্বাদ বর্জ্জিত এবং (খ) অম্লস্বাদ বিশিষ্ট। শেষোক্ত চাট্নি আবার প্রধানতঃ দুই প্রকার, (১) ‘সাদাসিধা এবং (২) ‘ঝাল’। অম্লস্বাদ বর্জ্জিত চাট্নিকে “মরিচ-বাটা’ বলে এবং অম্ল“স্বাদবিশিষ্ট চাট্নিকে শুধু ‘চাট্নি’ বলে।
ক। মরিচ-বাটা
আম বা অগ্নি-পক্ব কন্দ-মূল-ফলাদি বাটিয়া (পিষিয়া) তৎসহ নুণ, কাঁচা লঙ্কা বাটা, গন্ধদ্রব্য (যদ্যপি উহা স্বয়ং বাসযুক্ত না হয়), সরিষা বাটা এবং তৈল মিশাইয়া লইলে এই চাট্নি প্রস্তুত হইল।
পূর্ব্ববঙ্গে এই চাট্নির বিশেষ প্রচলন এবং তথাতে ইহাকে ‘মরিচ-বাটা’ বলিয়া থাকে। ইহা ভাতের সহিত মাখিয়া খাইতে হয়। কোন কোন মরিচ-বাটা ঠিক চড়চড়ীর ন্যায়ই পাক করিয়া প্রস্তুত করিতে হয়। আবার কোনও মরিচ-বাটা কেবল মশল্লাদি উপকরণেই প্রস্তুত হইয়া থাকে। অনেক ক্ষেত্রে নারিকেল কুড়িয়া বাটিয়া লইয়া মরিচ-বাটার সহিত মিশান হইয়া থাকে।
১৬৫। মানের মরিচ-বাটা
কাঁচা মান বিশেষতঃ ‘গিরি-মানের’ ডাঁটার নীচের দিক হইতে আঙ্গুল চারেক মত লইয়া ছুলিয়া লইয়া পাটায় মিহি করিয়া বাট। মানের তলার