দিকটা লইলে মুখ ধরিরে সুতরাং তাহা বাদ দিবে। ঝুনা-নারিকেল কুড়িয়া বাটিয়া লও। মান বাটা ও নারিকেল বাটা সম পরিমাণ একত্রে মিশাও। নুণ, একটু চিনি, কাঁচা লঙ্কা বাটা ও সরিষা বাটা মিশাও। সমস্তটা তেল দিয়া চপ্চপে করিয়া মাখিয়া লও।
১৬৬। মিঠা কুমড়ার বীচির শাঁসের মরিচ-বাটা
মিঠা বা বিলাতী কুমড়ার বীচি খুঁটিয়া শাঁস বাহির করিয়া লও। পাটায় বাট। ঝুনা নারিকেল কুড়িয়া বাট। উভয় সমপরিমাণে লইয়া একত্রে মিশাও। নুণ, একটু চিনি, কাঁচা লঙ্কা বাটা, সরিষা বাটা মিশাও। সমস্তটা তেল দিয়া মাখিয়া লও।
‘গাঙ্গ-মথুরা’ বা ‘দস্তাল’ কচুর পাতা বাটিয়া লইয়া তাহার সহিত নারিকেলকুড়া বাটা মিশাইয়া এই প্রকারে মরিচ-বাটা প্রস্তুত কর।
১৬৭। খারকোল বা খান-কচু পাতার মরিচ বাটা
‘খারকোল’ বা ‘খান’ কচুর পাতা পাটা বাটিয়া লও। ধনিয়া পাতা বা পার্শ্লীশাকের পাতা বাটিয়া ইহার সহিত মিশাও। উত্তপ্ত তেলে কালজিরা ফোড়ন দিয়া এই মিশ্রিত পাতা বাটা ছাড়। আংসাও। নুণ, কাঁচা লঙ্কা বাটা ও সরিষা বাটা মিশাও। নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও।
ফুল কোবির পাতা, ‘খামা’ কচুর ডাগুর (ডেগো) প্রভৃতিরও এই প্রকারে মরিচ-বাটা প্রস্তুত করিবে।
১৬৮। ধনিয়া পাতার মরিচ-বাটা
শুধু ধনিয়া পাতা বা পার্শ্লীপাতা লইয়া পাটায় বাট। নুণ, কাঁচা লঙ্কা বাটা ও সরিষা বাটা মিশাও। উপরে সরিষার তেল ঢালিয়া দিয়া চপচপে করিয়া মাখ।
১৬৯। শুক্না লঙ্কার মরিচ-বাটা
শুক্না লঙ্কা কাট-খোলায় ভাজিয়া বা পোড়াইয়া গুঁড়া করিয়া লও।