জ্বলন্ত অঙ্গার দাও। কিছুক্ষণ পরে মাছ বাহির করিয়া লইয়া খাও। ইহাকে ‘পাতাড়ি’ বলে।
(গ) উপরি-উক্ত বিধানে মাছ কুটিয়া ও মাখিয়া ছাঁচি কুমড়ার পাতা দিয়া জড়াও, তৎপর তাহা আবার কলাপাতায় উত্তমরূপে জড়াও। ভাত ঢালা গালায় কিছু ভাত ঢালিয়া সেই উত্তপ্ত ভাতের উপর পাতা-জড়ান ইলিশ মাছ রাখিয়া পুনরায় তদুপরি আরও উত্তপ্ত ভাত ঢালিয়া দাও। ভাতের উত্তাপে ইলিশ মাছ সুপক্ব হইবে। সাবধান, এরূপভাবে পাতা দ্বারা মাছ জড়াইবে যেন মাখা মাছের কোন অংশ গড়াইয়া বাহির হইয়া ভাতের উপর না পড়ে। তাহা হইলে ভাতের আঁষটে গন্ধ হইবে। পক্ষান্তরে ভাতের জলও যেন পাতার মধ্যে না ঢোকে। এই নিমিত্ত মাড় গালা ভাতের মধ্যে মাছ রাখিয়া এই 'পাতাড়ি' পাক করাই নিরাপদ। কুমড়া পাতা সহ মাছ একত্রে মাখিয়া খাইবে।
বাঁশপাতা, পবা, কৈ, টাকি এবং চিংড়ী মাছের উপরোক্ত প্রকারে পাতাড়ি রাঁধা হইয়া থাকে। কিন্তু তৎক্ষেত্রে কুমড়া পাতার পরিবর্ত্তে শুধু কলাপাতায় মাছ জড়াইবে।
(ঘ) একটী উত্তম ঝুনা নারিকেলের উপরের ছোবা উঠাইয়া ফেলিয়া মুখ একটু কাটিয়া ভিতরের জল বাহির করিয়া ফেল। এক্ষণে নুণ, হলুদ, কাঁচা লঙ্কা বাটা এবং সরিষা বাটা মাখান ইলিশ মাছ নারিকেলের ভিতরে পুরিয়া মুখ বন্ধ করিয়া দাও। নারিকেলের মালার উপর এক আঙ্গুল পুরু করিয়া মাটির লেপ দাও। অখার মধ্যে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর রাখ। এক পাশ পুড়িয়া মাটি লাল হইলে অপর পাশ উল্টাইয়া দাও। পরে আখার মধ্য হইতে বাহির করিয়া মাটি ছাড়াইয়া সাবধানে মাছ বাহির করিয়া লইয়া খাও।
চিংড়ী মাছও এইরূপে নারিকেলের মধ্যে পুরিয়া পোড়াইয়া খাইতে ভাল।