(ঙ) গ্রিল (বৈদেশিক)—ইলিশ মাছের মুড়া ফিঁছা কাটিয়া ফেলিয়া লম্বালম্বি ভাবে চিরিয়া বা কাটিয়া দুই ফাল্টা কর। ফাল্টা বড় বড় হইলে তাহা অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট খণ্ডে কাটিয়া লও, প্রতি খণ্ডেই গাদা ও পেটীর মাছ থাকিবে। এক্ষণে নুণ, গোলমরিচের গুঁড়া, রাইসরিষার গুঁড়া, একটু চিনি, লেবুর রস অথবা সির্কা এবং এঞ্চবী সস্ দ্বারা মাছ মাখিয়া খানিকক্ষণ ঢাকিয়া রাখ। এক্ষণে ‘গ্রিলদানিতে’ ঘি মাখিয়া জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর বসাও। উত্তপ্ত হইলে মাছের টুক্রাগুলি তদুপরি সাজাইয়া দাও। ঝল্সাইতে থাক। মধ্যে মধ্যে একটু একটু ঘি দিবে—যাহাতে মাছ গ্রিল্দানির সহিত পুড়িয়া না ধরে। এক পিঠে হইলে অপর পিঠ উল্টাইয়া দাও। লাল্চে রঙ্গ হইলে নামাও।
লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়া ও মাখন একত্রে গরম করিয়া এই মাছে মাখিয়া খাও।
শোল, টাকি, মাগুর প্রভৃতি মাছের এইরূপে ‘গ্রিল’ হইতে পারে।
(চ) স্মোক (বৈদেশিক)—উপর-উক্ত বিধানে সমস্ত মসলা দিয়া মাছ মাখিয়া পরে গ্রিল্দানিতে ঘি মাখাইয়া মাছ সাজাও। জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর কিছু করাতের গুঁড়া, ভিজা পোয়াল (বিচালি) বা গুড়ের মুড়কি প্রভৃতি দিয়া খুব ধোঁয়া কর। তদুপরি গ্রিল-দানি বসাইয়া দাও। সমস্তটা একটা কাঠেৱ প্যাক্বাক্স বা তদ্বৎ কোন ঢাক্নার দ্বারা ঢাকিয়া ফেল, যেন ধোঁয়া উত্তমরূপে ইলিশ মৎস্যে গায়ে লাগিতে পারে। এক পিঠ লাল্চে হইলে অপর পিঠ উল্টাইয়া দাও। পরে ইলিশ মাছ বাহির করিয়া খাও।
ইলিশ মাছের ডিম্বেরও গ্রিল্ এবং স্মোক্ হইয়া থাকে।
বাঁশপাতা, পবা, বাচা প্রভৃতি কোমল মাছের এইরূপে ‘স্মোক’ করা যাইতে পারে।
(ছ) বেক (বৈদেশিক)— ইলিশ মাছ ছোট ছোট টুক্রা করিয়া কাটিয়া