ঢালিয়া দাও। ব্রেড ও আপেল সসের সহিত পূর্ব্বলিখিত পক্ষী সিদ্ধ খাইতে পার।
হাড়িতে জল দিয়া তাহাতে মেষ অথবা ছাগ মাংস অথবা কোমল পক্ষীমাংস খণ্ড খণ্ড করিয়া কুটিয়া ছাড়। নুণ, গোটা গোল মরিচ, আদা ও পেয়াজ মিশাও এবং ইচ্ছা করিলে তেজপাত ও দুই চারিট গোটা গরম মশল্লাও মিশাইতে পার। হাঁড়ি জ্বালে চড়াও। মাংস অর্দ্ধ সিদ্ধ হইলে সরু চাউল ছাড়। নুণ মাখন ও কিছু দুগ্ধ মিশাও। চাউল সিদ্ধ হইলে জাল হইতে হাড়ীী সরাইয়া উনানের পাশে দমে রাখ। জল শুকাইলে নামাও।
ইহা রোগীর পথ্যরূপে ব্যবহৃত হইতে পারে।
মশল্প সংযুক্ত মাংসের যুষে ঘৃত সহ চাউল বা অন্ন এবং তৎসহ ভর্জ্জিত মৎস্য বা মাংস একত্রে পাক করাকে পলান্ন বা পোলাও বলা যাইতে পারে।
যাহারা মাংস খান না তাহারা শুধু মশল্পার যুষে ঘৃত সহ চাউল ও ভর্জ্জিত মৎস্য পাক করিয়া লয়েন। আঁষটে গন্ধবিশিষ্ট হয় বলিয়া সাধারণতঃ আবযুষের জলে মৎস্য ব্যবহৃত হয় না। তবে চিঙড়ী মৎস্যের যুষ হইতে পারে। যাহারা আবার মৎস্যও খান না তাহারা মৎস্যের পরিবর্তে ভর্জ্জিত আলু, কোবি, কড়াই শুঁটি, ছানা প্রভৃতি নিরামিষ সামগ্রী চাউলের সহিত একত্রে সাজাইয় মশল্পার যুষে পোলাও পাক করিয়া থাকেন। আবার মাংস মৎস্যাদির সহিতও আলু, কোবি, কড়াই শুঁটি প্রভৃতি আনাজ মিশাইয়া পোলাওয়ে দেওয়া হইয়া থাকে। মাংস, মৎস্য, ছানা ও আনাজ প্রভৃতি পূর্ব্বে ঘৃতে কষাইয়া লইতে হয় এবং চাউলও পূর্ব্বে ঘৃতে কষাইয়া লইলে ভাল হয়।
উপরি লিখিত তিন শ্রেণীর পোলাও ছাড়া আর এক শ্রেণীর পোলাও