যাঁহারা অধিকতর গুরু পোলাও রাঁধিতে ইচ্ছা করেন তাঁহারা বাদামবাটা, পেস্তাবাটা, দুধ, দুধের সর, দধি, মালাই বা ভাজা মোয়াক্ষীর (গুঁড়ান), প্রভৃতি ভাজা চাউলের সহিত মিশাইয়া লইয়া পাক করিতে পারেন।
যাঁহারা অপেক্ষাকৃত লঘুভাবে পোলাও পাক করিতে চাহেন তাঁহারা জলে মাংসের সহিত অল্প পরিমাণে ধনিয়া, সা-জিরা, সা-মরিচ, আদা, পেয়াজ, নুণ ও সামান্য কিছু গোটা গরম মশল্লা একত্রে সিদ্ধ করতঃ আখনির জল প্রস্তুত করিয়া লইতে পারেন এবং চাউলে জাফরান এবং গরমমশল্লা প্রভৃতির গুঁড়া না মাখিয়া শুধু সের করা এক পোয়া মত ঘৃতে ভাজিয়া লইয়া এই আখনির জলে সিদ্ধ করিরা পোলাও পাক করিতে পারেন। এবং অল্প পরিমাণে বাদাম পেস্তাকুচি, কিস্মিস, আদা কুচি এবং পেঁয়াজ কুচি ঘৃতে ভাজিয়া পক্ব পোলাওয়ের উপর পশ্চাৎ ছড়াইয়া দিয়া লইতে পারেন।
আবার হাঁড়িতে ঘৃতে তেজপাত, সা-জিরা, সা-মরিচ ও গোটা গরম মশল্লা (ও ইচ্ছা করিলে পেঁয়াজ, আদা ও কিস্মিস) ফোড়ণ দিয়া তাহাতে চাউল ছাড়িয়া আংসাইয়া লইয়া নুণ সহ জলে সিদ্ধ করতঃ সাদাসিধে রকম ‘ঘি-ভাত’ রাঁধিতে পারেন।
মাংসের পোলাওয়ের সহিত মৎস্য বা মাংসের কালিয়া, কারি, কোর্ম্মা প্রভৃতি এবং কোপ্তা বা অপর কোন কিমা-কাবাব খাওয়া যাইতে পারে।
খ (১)—মৎস্যের পোলাও।
হাঁড়িতে গোটা ধনিয়া, গোটা জিরা, গোটা মরিচ (কেহবা সাধারণ জিরা মরিচের পরিবর্ত্তে সা-জিরা সা-মরিচ ব্যবহার করিয়া থাকেন) শুক্না লঙ্কা (কেহ কেহ ইহা বাদ দিয়াও থাকেন), গোটা পেঁয়াজ (মাছের পোলাওয়ে আদা না দিলেও চলে) গোটা গরমমশল্লা, নুণ ও একটু চিনি চাউলের পরিমাণ অনুসারে পূর্ব্ব লিখিত মত হিসাবে দিয়া উক্ত হিসাবানুরূপ শীতল