পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অধ্যায়—সিদ্ধ।
২৫

জল দাও। হাঁড়ির মুখ ঢাকিয়া জালে উঠাইয়া দাও। জলের রঙ্গ লাল্‌চে হইয়া তিন ভাগের দুই ভাগ মত দাঁড়াইলে নামাইয়া ছাঁকিয়া জলটুকু রাখ।

 চাউলের অর্দ্ধেক বা বারো আনা মত উত্তম পাকা রুই মাছ লইয়া অপেক্ষাকৃত বড় বড় মোটা মোটা খণ্ডে কুটিয়া নুণ হলুদ মাখিয়া ঘৃতে লাল্‌চে করিয়া ভাজিয়া রাখ।

 উত্তম পুরাণ মিহি আতপ চাউল পরিষ্কার করিয়া ধুইয়া মেলাইয়া শুকাও। তৎপর জাফরান মাখিয়া সের করা পাঁচ ছটাক মত ঘৃতে ঈষৎ ভাজিয়া লও, কিছু গরমমশল্লা প্রভৃতির ছাঁকা গুঁড়া ও বাদাম পেস্তাকুচা ও কিস্‌মিস মিশাও।

 একটি হাঁড়ির তলায় খানকয়েক তেজপাতা বিছাইয়া তদুপরি ঐ চাউল সাজাইয়া দাও। চাউলের উপর ভাজা মাছ সাজাও-পুনরায় চাউল সাজাও—পুনরায় তদুপরি ভাজা মাছ সাজাও-পুনরায় তদুপরি চাউল সাজাও এবং সর্ব্বোপরি আখনির জল সাবধানে ঢালিয়া দাও। জল চাউলের উপর চারি আঙ্গুল পরিমিত রাখিবে। হাঁড়ির মুখ ঢাকিয়া জালে উঠাইয়া দাও। চাউল সিদ্ধ হইবা মাত্র উনান হইতে হাঁড়ি উঠাইয়া উনানের এক পার্শ্বে অল্প আঁচে দমে বসাইয়া রাখ। সুসিদ্ধ হইয়া জল শুকাইয়া গেলে নামাও।

 ভাজা মাছের সহিত ইচ্ছা করিলে লালচে করিয়া ভাজিয়া আলু, কোবি, কড়াই শুঁটী, বাঁধা-কোবি, শালগম পেঁয়াজ প্রভৃতি এক বা দুই প্রকারের আনাজ একত্রে সাজাইয়া দিয়া পোলাও পাক করিতে পার। রুচী অনুসারে ইহাও লঘু গুরুভেদে রাঁধিতে পার।

 মাছের পোলাওয়ের সহিত মৎস্য বা মাংসের কালিয়া, কারি, কোর্মা, কিমা-কাবাব কিম্বা মাছের মুড়ী ঘণ্ট ডাইল খাইতে পার।