খ (২)—চিঙড়ী মাছের পোলাও।
বড় বড় গল্দা বা মোচা চিঙড়ীর মুড়া কাটিয়া তদ্বারা মশল্লা সহযোগে আবযূষের জল প্রস্তুত করিবে। বড় চিঙড়ীর মাথা না পাইলে ছোট ছোট সমগ্র চিঙড়ীর দ্বারাই আখনির জল প্রস্তুত করিবে এবং বড় চিঙড়ীর শস্যাংশ নুণ হলুদ সহ কষাইয়া চাউলের সহিত সাজাইয়া উপরি লিখিত ভাবে প্রস্তুত আবযূষের জলের সহিত রুই মাছ বা মাংসের পোলাওয়ের ন্যায় পোলাও রাঁধিবে। রুচী অনুসারে ইহাও লঘু গুরু ভেদে পাক করিতে পার।
গ। নিরামিষ পোলাও।
পেঁয়াজ ও মৎস্য মাংসাদি বাদ দিয়া কেবলমাত্র মশলার দ্বারা ও ইচ্ছা করিলে তৎসহ আদা সংযোগে আখনির জল প্রস্তুত করিবে।
আলু, ফুলকোবি, বাঁধাকোবি, শালগম, স্কোয়াস, কড়াইশুটী, ছানা, ডাইলের পানিদলা বা ধোকা মধ্যে ইচ্ছা অনুসারে কোন এক বা একাধিক সামগ্রী লইয়া ঘৃতে লাল্চে করিয়া ভাজিয়া লও। তৎপর তাহা চাউলের সহিত পোলাওয়ের নিয়ম অনুসারে সাজাইয়া পোলাও পাক কর। ইহাও উপকরণের তারতম্যে লঘু গুরু ভেদে রাঁধিবে।
নিরামিষ পোলাওয়ের সহিত বিবিধ নিরামিষ ঝাল, কালিয়া, টিকলি কালিয়া, ভাজা, ডাইল প্রভৃতি খাইবে।
ঘ। মিষ্ট পোলাও।
আনারস ডুমা ডুমা করিয়া কাটিয়া লও। যাহাতে আনারসে মুখ না ধরে তজ্জন্য বলা বাহুল্য আনারসের চোকগুলি বাদ দিবে এবং নুণ মাখিয়া কিছুক্ষণ পরে ধুইয়া ফেলিয়া তাহার তদ্দোষ নষ্ট করিবে। আনারসের সহিত পরিমাণ মত চিনি, গোটা গরম মশল্লা, কাবাব-চিনি ও জায়ফল দিয়া