পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অধ্যায়—সিদ্ধ।
২৭

জলে সিদ্ধ কর। সুসিদ্ধ হইলে ছাঁকিয়া জলটুকু লও। ইহাই হইল আবযুষের জল। এক্ষণে আরও আনারস খণ্ড লইয়া ঘৃতে ভাজিয়া রাখ।

 চাউল ধুইয়া পরিষ্কার করিয়া শুকাইয়া লও, তাহাতে জাফরান মাখিয়া ঘৃতে ভাজ। কিছু জায়ফল ও গরমমশল্পার গুঁড়া ও বাদাম পেস্তার কুচা ও কিসমিস মিশাও। হাঁড়িতে খানকত তেজপাত সাজাও—তেজপাতের উপর ক্রমে ঐ চাউল ও আনারস খণ্ড পরলে পরলে সাজাও। আখনির জল ঢালিয়া দাও। সিদ্ধ হইলে উনানের উপর হইতে সরাইয়া উনানের এক পার্শ্ব অল্প আঁচে দমে বসাইয়া রাখ। সুসিদ্ধ হইয়া জল মরিয়া গেলে নামাও। ইহার সহিত ঘৃতে ভাজা মোয়াক্ষীরের গুঁড়া মিশাইলে স্বাদ উৎকৃষ্ট হয়। কিছু গোলাপ জল উপরে ছড়াইয়া দিতে পার।

 আপেল, থোবানি, আলুবোখার, পিচফল, আঙ্গুর প্রভৃতির দ্বারা এইরূপে পোলাও রাঁধিবে।

 কমলু লেবুর পোলাও রাঁধিতে হইলে অর্দ্ধ সিদ্ধ পোলাওয়ে কমলা লেবুর রস চিপিয়া মিশাইতে হইবে এবং কমলা লেবুর কোয়া চাউলের সহিত একত্রে হাঁড়িতে সাজাইয়া দিতে হইবে। আখনির জলে কমলা লেবু না দিয়া তাহার শুষ্ক খোসা দিয়া সুগন্ধ করা যাইতে পারে।

 বাদামের পোলাওয়ে বাদাম কুচি কিছু বেশী করিয়া মিশাইতে হইবে এবং বাদাম বাটিয়া অর্দ্ধ সিদ্ধ পোলায়ের সহিত মিশাইতে হইবে।

 নারিকেলের পোলাওয়ে নারিকেলের দুগ্ধ এবং নারিকেল-কুড়া মিহি করিয়া বাটিয়া মিশাইতে হইবে। দহির পোলোওয়ে দহি মিশাইবে।

 গোলাপী পোলাওয়ে গুলকন্দ দিয়া আখনির জল প্রস্তুত করিবে এবং পরিশেষে কিছু গোলাপ জল বা ঈষৎ গোলাপী আতর মিশাইয়া সুগন্ধী করবে। অপরাপর মিষ্ট পোলাওয়েও ইচ্ছা করিলে গোলাপ জল বা ঈষৎ গোলাপী আতর মিশাইতে পার।