একটু চিনি মাখিয়া অল্প তৈলে বা ঘৃতে জলের ছিটা মারিয়া মোলায়েম করিয়া ভাজ। রুচি অনুসারে হলুদের বদলে মরিচ গুঁড়া এবং শলুপশাক কুচি মিশাইতে পার।
লুচী, পরোটা প্রভৃতির সহিত আলু এই প্রকারে ভাজিয়া খাইতে ভাল লোগে।
(৩) বরেন্দ্রের লাল্চে আলু ভাজি—বরেন্দ্রের ছোট ছোট লাল্চে আলু (যাহার ডাক নাম নওগেঁয়ে আলু) দুই চারি ফাঁক করিয়া কুটিয়া নুণ, হলুদ ও কিঞ্চিৎ চিনি মাখিয়া অল্প তৈলে লঙ্কা, মেথি বা কালিজিরা ফোড়ণ দিয়া বা অমনি জল আছড়া দিয়া নরম করিয়া ভাজিবে। ইহাকে ছেঁচকীও বলিতে পার। এই আলুতে শ্বেতসারের (starch) ভাগ কম আছে এবং glutenএর ভাগ বেশী আছে বলিয়া ইহা লাল দেখায়।
৩১। আলুর বড়া ভাজি
(ক) আলু সিদ্ধ করিয়া ছানিয়া লও। নুণ মরিচের গুঁড়া বা লঙ্কা বাটা এবং ইচ্ছা করিলে তৎসহ দুটো কালিজিরা বা মৌরী গুঁড়া মিশাও। কিছু চাউলের গুঁড়া ও কিছু ঘৃত (ময়ান) মিশাও। ঈষৎ জল মিশাইয়া আবশ্যক মত পাৎলা করিয়া লইয়া উত্তমরূপে ফেটাও। ভাসা তৈলে বড়া ভাজ।
ওল, মান, লাল আলু, কুঁড়ি কচু, আনাজী কলা, খই প্রভৃতির এই প্রকারে বড় ভাজিবে।
(খ) আলুর মাফিন (বৈদেশিক)—আলু সিদ্ধ করিয়া খোসা ছাড়াইয়া উত্তম রূপে চটকাইয়া লও। নুণ, মরিচ গুঁড়া বা লঙ্কা বাটা মিশাও। গোলাকার, ডিম্বাকার বা টিকলী প্রভৃতির আকারে গড়িয়া ময়দা বা সুজীর (কাট-খেলায় তা’ দেওয়া) অথবা ব্রেডক্রাম্বের উপর গড়াইয়া লইয়া তৈরে করিয়া ঘৃতে ভাজ। সিদ্ধ আলুতে যথেষ্ট আটা না থাকিলে ডিমের হরিদ্রাংশ মিশা-