পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় অধ্যায়-ভাজি।
৩৩

তেড়চা ভাবে ভোট দিয়া চারি খণ্ড করিয়া লও। নুণ হলুদ ও একটু মিষ্ট মাখিয়া ভাসা ঘৃতে বা তৈলে ভাজ।

 (খ) অল্প তেলে বা ঘৃতে জলের ছিটা দিয়া মোলায়েম করিয়া পটোল ভাজিবে।

 ঝিঙ্গা, ধুমা, চিচিঙ্গা, কাকরী প্রভৃতির গায়ের সব্‌জা এই ভাবে তুলিয়া ফেলিয়া চাকা চাকা করিয়া কুটিয়া ভাসা বা অল্প তেলে ভাজিবে।

 কচি ঢেঁরস গোটা রাখিয়া গায়ের সব্‌জা তুলিয়া ফেলিয়া ভাজিবে।

৩৫। করিলা (উচ্ছে) ভাজি

 করিলা (উচ্ছে) ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া ভাসা বা অল্প তেলে ভাজিবে। অল্প তেলে নরম করিয়া ভাজিতে হইলে ঈষৎ পুরু পুরু করিয়া কুটিবে।

 করলা, শিম, কাঁকরোল, নারিকেল, ডুমুর কাঁটাগর প্রভৃতি এই প্রকারে ভজিবে। ডুমুর একটু ভাপ দিয়া লইবে।

৩৬। পল্‌তার বড়া ভাজি

 মসূর অথবা মটরের ডাইল ভিজাইয়া রাখিয়া গোটাকয়েক পল্‌তা পাতার সহিত একত্রে বাটিয়া লও। একটু নুণ মিশাইয়া ফেনাইয়া ভাসা ঘৃতে বা তৈলে বড়া ভাজ। ইহা রোগীর পথ্যরূপে ব্যবহৃত হয়।

৩৭। নারিকেলের বড়া ভাজি

 উত্তম ঝুনা নারিকেলের শাঁস ‘বিড়ালী’ বা ‘কোড়নার’ দ্বারা কুড়িয়া উঠাইয়া ভিজান আতপ চাউলের সহিত একত্রে বাট। দুই ভাগ নারিকেল কুড়ার সহিত এক ভাগ চাউল মিশাইবে। একটু নুণ ও মিষ্ট মিশাইয়া ফেনাইয়া ভাসা তৈলে বা ঘৃতে বড়া ভাজ। এতৎসহ একটু হলুদ ও দুটো মৌরী-গুঁড়া মিশাইতে পার।