৪৬। খেঁসারীর শাক ভাজি
খেঁসারী শাকের সহিত উত্তম কচি বেগুণ ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া মিশাইয়া নসনসে করিয়া ভাজিতে হয়। খেঁসারী শাক অম্লস্বাদ বিশিষ্ট সুতরাং ভাপ দিয়া জল চিপিয়া ফেলিয়া লইবে। তৈলে কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়া শাক ও বেগুণ ছাড়। আংসাও। নুণ হলুদ ও একটু মিষ্ট দাও। নাড়িয়া চাড়িয়া বেশ নসনসে গোছ করিয়া নামাও।
৪৭। পাটের শাক ভাজি
পাটের শাক ঘৃতে মুচমুচে করিয়া একটু নুণ সহ ভাজিবে।
৪৮। মেথি শাক ভাজি
শাক বাছিয়া লও। বেগুণ ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া লও। তৈলে কাঁচা বা শুক্না লঙ্কা ও মেথি ফোড়ন দিয়া শাক বেগুণ ছাড়। নুণ হলুদ দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া ঢাকিয়া দাও। প্রয়োজন হইলে একটু জল দিবে।
গিমা ও ব্রাহ্মী শাক এই প্রকারে ভাজিবে।
মেথি শাক পাৎলা বুটের বেসম গোলায় বা মটর ডাইলবাটার গোলায় ডুবাইয়া ভাজিলে সুন্দর লাগে।
৪৯। বিলাতী কুমড়ার শাক ভাজি
বিলাতী কুমড়ার জালি পাতা ও ডগা লও। তৈলে কাঁচা বা শুক্না লঙ্ক ফোড়ন দিয়া শাক ছাড়। নুণ হলুদ দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া ঢাকিয়া দাও। আবশ্যক হইলে একটু জল দিবে। শুকাইয়া আসিলে কাঁচা লঙ্কা ও সরিষা একত্রে বাটিয়া মিশাও। নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও।
সরিষার ফুল, তারামিরার ফুল, রাইসরিষার শাক, মূলার শাক (মূলার শাক কুচাইয়া লইবে) বাঁধা কোবি, ফুলকোবির পাতা (একটু ভাপ দিয় কুচাইয়া লইবে) প্রভৃতি এই প্রকারে সরিষা বাটা যোগে ভাজিবে।