৫০। ছাঁচি কুমড়ার শাক ভাজি
ছাঁচি কুমড়ার বড় বড় বুড়া পাতাই খাইতে ভাল। পাতাগুলি ছিঁড়িয়া ছিঁড়িয়া লও। তৈলে কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়া পাতা ছাড়। নুণ হলুদ দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া ঢাকিয়া দাও। আবশ্যক হইলে একটু জল দিবে। শুকাইয়া নরম হইলে তিল-পিঠালী বাঁটা অথবা সরিষা বাঁটা মিশাইয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও। আবার তিল বা সরিষা বাটা না দিয়া শুধু শুধুও ভাজিতে পার।
৫১। কলমী শাক ভাজি
বর্ষার শুরুতে যখন কলমী শাকের নতি কেবল বাহির হইতে আরম্ভ হইবে সেই সময় কলমী শাকের কচি কচি ডগা ও পাতা সংগ্রহ পূর্ব্বক তেলে ভাজিয়া নূতন ঝাল-কাসুন্দীর সহিত মাখিয়া খাইবে।
তেলে কাঁচা লঙ্কা এবং কালজিরা অথবা জওয়ান ফোড়ন দিয়া শাক ছাড়। নুণ হলুদ দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া ঢাকিয়া দাও। প্রয়োজন হইলে কিছু জল দিবে। নরম হইয়া জল শুকাইলে নামাও।
৫২। মটরশুটি ভাজি
শুটী হইতে মটর ছাড়াইয়া লও। ঘৃতে জিরা ও শুক্না লঙ্কা ফোড়ন দিয়া মটর ছাড়। নুণ হলুদ দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া ঢাকিয়া দাও। আবশ্যক হইলে একটু চিনি দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও। মটর বেশী ভাজিলে চিমড়া হইয়া যায় সুতরাং ঢাকিয়া দিয়া ভাজাই ভাল। বুড়া কলাই হইলে পূর্ব্বে ভিজাইয়া রাখিবে বা একটু ভাপ দিয়া লইবে। ইহাতে শিঙ্গাড়ার পুর হয়।
শিমের বীচি, বরবটির বীচি, বোড়া কলাই ও বুট পুর্ব্বে ভিজাইয়া রাখিয়া বা একটু ভাপ দিয়া লইয়া এই প্রকারে ভাজিবে।