৷৵৹
তবে ঐ সকল বরেন্দ্র বহির্ভূত রন্ধন যে যে অধ্যায়ে লিখিলে তাহা বরেন্দ্রে রন্ধনের সহিত কতকটা খাপ খাইতে এবং তাহার সহিত তুলনা করা যাইতে পারে বিবেচনা করিয়াছি তদনুসারে তাহা বিভাগ করিয়া সেই সেই অধ্যায় ভুক্ত করিয়াছি।
বরেন্দ্র-প্রচলিত রন্ধন হিসাবে এই গ্রন্থ যে পূর্ণাবয়ব হইয়াছে একথা বলিতে আমি সাহস করি না। পরন্তু আমার স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে এতদ্বিষয়ক সংগ্রহই অপূর্ণ রহিয়া গিয়াছে; অপিচ তিনিও যতটুকু জানিতেন তাহাও আমি সম্পূর্ণ জ্ঞাত হইতে পারি নাই। তাঁহার ত্যক্ত কাগজ-পত্রাদি হইতে আমার ক্ষমতায় যেটুকু উদ্ধার সাধন সম্ভবপর হইয়াছে মাত্র তাহাই এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিয়াছি; সুতরাং বহুক্ষেত্রে যে এই গ্রন্থের অসম্পূর্ণতা ও ক্রটি পরিলক্ষিত হইবে তাহাতে আর সন্দেহ নাই।
আমাদের পরিবারে আমার পত্নীর রন্ধন নিপুনতার যে একটু খ্যাতি জন্মিয়ছিল তাহার কারণ জিজ্ঞাসু হইলে তিনি হাসিয়া কহিয়াছিলেন, “পাচিকার প্রধানতঃ দুইটি গুণ থাকা প্রয়োজন; একটি রন্ধনের প্রতি আন্তরিক অনুরাগ বা শ্রদ্ধা, অপর, রন্ধনকালে তৎপ্রতি গভীর মনঃসংযোগ।” আমার পত্নীর অটল ধৈর্য্যশীলতা দেখিয়া আমার বোধ হয়, সুপাচিকার তৃতীয় গুণ ধৈর্য্যশীলতাও বটে।
দয়ারামপুর, |
শ্রীশরৎকুমার রায় |