তৈলে ভাজিবে। বুটের বেসমের দ্বারা এই ভাজা হয় বলিয়া ইহাকে সচরাচর ‘বেসন বা বেসম ভাজি’ কহে। এবং শুধু বেসমের বড়া ভাজিকে ‘ফুলুরী’ কহে। এতৎসহ পেঁয়াজ কুচা মিশাইয়া ভাজিলে তাহাকে ‘প্যাঁজের ফুলুরী’ কহে। বুটের বেসমের সহিত প্যাঁজ যেরূপ খাপ খায় মটর ডাইল বাটার সহিত সেরূপ খাপ খায় না। ক্ষুদ্র মৎস্যদিও বুটের বেসমের আবরণে ভাজিতে পার যায়।
৫৬। তিলের পাট ভাজি
তিলঘষা জাঁতায় তিল ফেলিয়া ঘুরাইয়া তিলের খোসা উঠাইয়া ফেল, অথবা জাঁতা না থাকিলে মাটির ঝাঁঝরে তিল রাখিয়া হাতে ডলিয়া খোসা উঠাইয়া ফেল। পরিষ্কৃত তিল লইয়া আতপ চাউলের (ভিজান) সহিত একত্রে পাটায় বাটিয়া লও। দুই ভাগ তিলের সহিত একভাগ চাউল মিশাইবে। অথবা পূর্ব্বে তিল বাটিয়া লইয়া পশ্চাৎ তাহাতে চাউলের গুঁড়া মিশাইতেও পার। বাটনা যেন বেশ মিহি হয়। এক্ষণে নুণ লঙ্কাবাটা মিশাইয়া ক্রমে জল দিয়া ফেনাইয়া আবশ্যক মত গাঢ় করিয়া গোলা প্রস্তুত কর। চাউলের গুঁড়ার ভাগ বেশী বোধ হইলে কমাইয়া লইবে। শশা, ছাঁচিকুমড়া, বিলাতী (মিঠা) কুমড়া প্রভৃতি পাট পাট করিয়া কুটিয়া এই গোলায় ডুবাইয়া তুলিয়া ভাসা তৈলে মুচমুচে করিয়া ভাজ।
পোস্তদানা বাটা, মশিনা বাটা প্রভৃতি দ্বারা এইরূপে ‘পাট’ ভাজিবে।
৫৭। সরিষার পাট ভাজি
সরিষা মিহি করিয়া পাটায় বাটিয়া লও। কিছু চাউলের গুঁড়া, নুণ ও লঙ্কা বাটা মিশাইয়া জল দিয়া ফেনাইয়া গোলা প্রস্তুত কর। বেগুণ, শশা, মোচার কোমলাগ্রভাগ, ওলের ডাগুর, ধামাকচু এবং তাহার ডাগুর, সরিষার ফুল, তারামিরার ফুল প্রভৃতি এই গোলায় ডুবাইয়া তুলিয়া ভাসা তৈলে ভাজ।