যাইবে এবং তেল-পেচপেচে হইবে এবং তাহার আস্বাদনও ছোবা ছোবা হইবে। আবার তৈল অধিক উত্তপ্ত হইলে তাহাতে মাছ ছাড়িলে মাছ ‘জ্বলিয়া’ যাইতে পারে। তৈল উপযুক্তরূপে উত্তপ্ত হইলে তাহাতে মাছ ছাড়িবামাত্র মাছের উপরিভাগ ঈষৎ কঠিন হইয়া অত্যন্তরের ‘রস’ নির্গমপথ রুদ্ধ করিবে এবং রোহিতাদি মৎস্যের উপরটা লালচে করিয়া ভাজিলে পুরু মৎস্য খণ্ডের অভ্যন্তর ভাগ সর্ব্বত্র সুপক্ব হইয়া এই রস পর্য্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হইবে, অথচ তাহা বহির্গত হইয়া যাইবে না, সুতরাং ভর্জ্জিত মৎস্য সুন্দর মোলায়েম, সরস ও সুতার বিশিষ্ট হইবে। কিন্তু এতদপেক্ষা অধিক ভাজা হইলে অর্থাৎ মাছের উপরের রঙ্গ তামাটে বর্ণ ধারণ করিলে, আর এ ভাব থাকিবে না, অত্যধিক তাপে রস উপিয়া বহির্গত হইয়া গিয়া অভ্যন্তর ভাগও শুষ্ক ও কঠিন হইয়া যাইবে, সুতরাং ভর্জ্জিত মৎস্য চিমড়া ও শেষ পর্যন্ত কাষ্ঠবৎ স্বাদবিশিষ্ট হইয়া অখাদ্য হইয়া যাইবে। মাছ একটু নরম থাকিলে অবশ্য ঈষৎ কড়া করিয়া ভাজিয়া খাওয়াই কর্তব্য।
অন্যান্য ভাজার ন্যায় মাছ ভাজাও গরম গরম খাইবে।
মোয়া, সাঁপুই, পুঠি, পিয়ালী, ফাসা, খরিয়া (খইরা), সুবর্ণ খরিয়া, রাইখরিয়া, এলঙ্গ, নছী (রুই, কাৎলা প্রভৃতির ছা), বাটা, ভাঙ্গন, খরসুল্লা, (পার্শে) ও ছোট ছোট কাঁকড়া ও চিঙড়ী প্রভৃতি চুণা বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৎস্য গোটা কুটিয়া বা বড় হইলে খণ্ড খণ্ড করিয়া নুণ হলুদ মাখিয়া সুধু অথবা প্যাঁজ কুচা ফোড়ন দিয়া ভাসা তৈলে মুচমুচে করিয়া ভাজিবে। খরিয়া ও রাইখরিয়া মাছ বড় হইলে কাঁটা বহুল হয় সুতরাং তাহাদের ছোটই এই প্রকারে ভাজিয়া খাইতে ভাল। বড় খরিয়ামাছ সুজী মাখিয়া ঘৃতে ভাজিয়া খাইতেই ভাল।
ফলুই, পাতাশী, পবা, বাঁশপাতা, টেঙ্গা, মেটর (সিলঙ্গ, আইড় প্রভৃতি বৃহৎ মৎস্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাচ্ছা) প্রভৃতি অপরাপর চুঁচড়া মাছ এমনিতর