পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় অধ্যায়-ভাজি।
৪৫

মুচমুচে করিয়া ভাজিয়া খাইতে তেমনতর স্বাদ হয় না, তাহা কিছু নরম তাকে ভাজিয়া খাইবে।

 অপেক্ষাকৃত বড় চিংড়ী, ইলিশ, কৈ, খলিষা, (তপসী), (সিল্লি), ভোল, ভেদা প্রভৃতি মাছ নরম তাকে ভাজিয়া খাইবে। ইলিশ মাছ যত নরম তাকে ভাজিয়া তুলিতে পার ততই ভাল। কৈ ঈষৎ কড়া করিয়া ভাজিবে।

 পানসে অথচ তৈলাক্ত বড় বড় মাছ যথা—বাচা, আইড়, বোয়াল, সিলঙ্গ, চিতল প্রভৃতিও নরম তাকে ভাজিয়া খাইবে। কিন্তু এ সমস্ত মাছ ভাজিয়া খাইতে তাদৃশ স্বাদ লাগে না।

 রুই, কাৎলা, বাউস, মৃগেল, মহাশোল, সারঙ্গ পুঁঠী, (ভেকুট) প্রভৃতি বৃহত্তর মৎস্য অপেক্ষাকৃত পুরু ও বড় বড় খণ্ডে কুটিয়া ভাসা তেলে লালচে করিয়া ভাজিয়া খাইবে।

 রুই, ইলিশ, কৈ, খইরা, এলঙ্গ প্রভৃতি মাছের ডিম নুণ হলুদ মাখিয়া তেলে ভাজা যায়, কিন্তু বড় বড় মাছের ডিম যেমন স্বতন্ত্র ভাজা যায় কৈ, খইরা, এলঙ্গ প্রভৃতি ছোট মাছের তাহা যায় না।

 ছাতিয়ান (টাকি), শোল, বাইম, গুঁচী, মাগুর, সিঙ্গী প্রভৃতি জিয়োল মাছ সচরাচর ভাজিয়া খাইতে দেখা যায় না,—পোড়াইয়া খাইতেই দেখা যায়। তবে ছাতিয়ান, শোল প্রভৃতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোনা ভাসা তেলে শুধু অথবা পেয়াজ কুচি সহ মুচমুচে করিয়া ভাজিয়া খাইবে। আবার এই সমস্ত পোনার নরম তাকে ‘পুড়পুড়ী’ রাঁধিয়া খাইতেও বেশ ভাল লাগে।

৬২। ক্ষুদ্র মাছের পুড়পুড়ী

 ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চুণামাছ, সুবর্ণখরিকা মাছ অথবা শোল ছাতিয়ান প্রভৃতি মাছের পোনার এবং ছোট ছোট চিংড়ী মাছের ‘পুড়পুড়ী’ হইয়া থাকে। মাছ নুণ হলুদ দিয়া মাখ। অল্প তেলে লঙ্কা (অথবা কাঁচা লঙ্কা) ও রুচী