অনুসারে পেঁয়াজ (কুচা বা চাকা) ফোড়ন দিয়া মাছ ছাড়। আংসাও। মধ্যে মধ্যে জলের ছিটা মারিয়া নরম করিয়া ভাঙ্গা শুকাইয়া নামাও। এই পুড়পুড়ীর বিশেষতঃ চিঙড়ীমাছের পুড়পুড়ীর ‘পূর’ ভরিয়া শিঙ্গাড়া প্রভৃতি ভাজা খাইতে পার। (‘জলখাবার’—‘পুরী’ অধ্যায় দ্রষ্টব্য।)
৬৩। কুচা চিঙড়ীর সহিত বিলাতী কুমড়ার শাক ভাজি
বিলাতী (মিঠা) কুমড়ার কচি কচি ডগা ও পাতা বাছিয়া লও। কুচা চিঙড়ী কুটিয়া নুণ হলুদ মাখ। তেলে কাঁচা লঙ্কা ও পেঁয়াজ ফোড়ন দিয়া মাছ ছাড়। আংসাও। শাক ছাড়। আংসাও। পুনরায় কিছু নুণ, হলুদ ও কিছু লঙ্কা বাটা মিশাও। অল্প জল দাও। সিদ্ধ হইলে কিছু চিনি দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া শুকাইয়া নামাও।
ইহা খিঁচুড়ীর সহিত এবং মুড়ী প্রভৃতি ভাজার সহিত খাইতে ভাল।
৬৪। সুজী দিয়া মাছ ভাজি
আনাজাদি যেমন পাট পাট করিয়া কুটিয়া লইয়া মটর ডাইল বাটা, বুটের বেসম, তিল-পিঠালী বাটা, ময়দা প্রভৃতির আবরণে তৈলে ভাজা হইয়া থাকে মৎস্যও সেই রকম ময়দা বা সুজীর আবরণে ঘতে ভাজা হইয়া থাকে। কিন্তু মটর ডাইলবাটা প্রভৃতির যেমন তরল ‘গোলা’ প্রস্তুত করিয়া লইয়া আনাজাদি তাহাতে ডুবাইয়া তুলিয়া ভাজিতে হয় মাছের ‘সুজী-ভাজি’তে সেরূপ করিতে হয় না, ইহাতে ময়দা বা সুজী অথবা উভয় একত্রে সমপরিমাণে লইয়া কাটখোলায় চমকাইয়া ঈষৎ লাল্চে করিয়া ভাজিতে হয় এবং কাঁচা মৎস্যাদিতে ঝাল নুণাদি মাখিয়া ঐ চমকান শুষ্ক সুজীর উপর গড়াইয়া লইয়া ঘৃতে ভাজিতে হয়। (ইউরোপীয়গণ ক্রাম্ব্রুটীর গুঁড়া দ্বারা মৎস্য মাংসাদি মাখিয়া ভাজিয়া থাকেন। ইহা কলিকাতা বা অপর বড় সহরে যথেষ্ট পওয়া যায় সুতরাং সুজীর পরিবর্ত্তে ক্রাম্বরুটীর গুঁড়া দ্বারা ইচ্ছা করিলে মাছ মাখিয়া