(ঙ) ভাঙ্গন মাছ—সুপুষ্ট দেখিয়া মাছ লও। গোটা রাখিয়া কুটিয়া গায়ে দুই একস্থানে আড়ভাবে চির দিয়া অথবা বড় হইলে খণ্ড খণ্ড করিয়া লও। নুণ, (হলুদ), গোল মরিচের গুঁড়া, আদা বাটা বা রস ও রুচী অনুসারে পেঁয়াজ বাটা বা রস ও কিঞ্চিৎ অম্নরস দিয়া মাছ মাথা সুজীর বা ব্রেডকাম্বের উপর ফেলিয়া পালটাইয়া মাছে সুজী বা ক্রাম্ব মাখিয়া লও। ভাজ। ইউরোপীয় ধরণে এরোরুট বা ডিমের শাঁস মিশাইয়া গোলা প্রস্তুত করতঃ তাহাতে মাছ মাখিয়া ব্রেডক্রাম্বে গড়াইয়া ভাজিলে উৎকৃষ্ট হইবে।
খরসুল্লা, (পার্শে), (তপসী), সল্লি, ভোল, বাটা, নছী ও সামুদ্রিক সিয়ার বা মেকরেল, পমফ্রেট, সোল প্রভৃতি মাছ এই প্রকারে ঘৃতে ভাজিবে।
(চ) চিতল মাছ—চিতল মাছের গাদার মাছ কাটিয়া লও। একধান লৌহ ঝিনুক বা ছুরি দ্বারা আঁচড়াইয়া গাদার অন্তর্নিবিষ্ট কাঁটা সমূহ উঠাইয়া ফেল। সামান্য একটু থুরিয়া লইয়া অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট বরফীর আকারে কুটিয়া লও। নুণ, লঙ্কা বাটা এবং ইচ্ছা করিলে আদা ও পেঁয়াজ বাটা ও কিঞ্চিৎ অম্লরস এবং বাঁধন স্বরূপ তৎসহ এরোরুট বা ডিমের শাঁস মিশাইয়া সুজী, ময়দা বা ব্রেডক্রাম্বের উপর গড়াইয়া লইয়া ঘৃতে ভাজ। ইহার দ্বারা পুনঃ সুন্দর কালিয়া রাধা যাইতে পারে।
৬৫। চিঙড়ী মাছের বড়া ভাজি।
‘সুজী ভাজিতে’ মাছ গোটা রাখিয়া কেবল একটু ছেঁচিয়া বা থুরিয়া লইতে হয়, বড়া ভাজিতে কাঁচা বা ঈষৎ কষান মাছ লইয়া মিহি করিয়া পাটায় বাটিয়া বা হামানদিস্তায় কুটিয়া লইতে হয়। তৎপর তাহাতে কিছু চাউলের গুঁড়া (বাঁধনের নিমিত), নুণ, হলুদ ও লঙ্কাবাটা এবং তৎসহ ইচ্ছা হইলে আদা ও পেঁয়াজ মিহি করিয়া বাটা মিশাইয়া এবং কিছু ঘৃতের ময়ান দিয়া উত্তম রূপে ফেনাইয়া লইবে। অবশেষে তদ্দ্বারা