পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
বরেন্দ্র রন্ধন।

৭৪। মেষের জিহ্বা ভাজি।

 মেষের জিহ্বা কাটিয়া সাফ করিয়া লও। জলে সিদ্ধ কর। উপরের ছাল উঠাইয়া ফেল। নুণ, মরিচ গুঁড়া, আদার রস, পেঁয়াজ রস, কিঞ্চিৎ অম্লরস ও চিনি (এবং ডিমের শাঁসের বাঁধন) দিয়া মাখিয়া সুজী, ময়দা বা ব্রেডক্রান্তের উপর গড়াইয়া লইয়া ঘৃতে ভাজ।

৭৫। মাংস ভাজি।

 মৎস্যের ন্যায় মাংস ও বিবিধ প্রকারে ভাজা যায়। এতৎসম্বন্ধে নিয়ে ‘কাবাব’ শীর্ষক প্রবন্ধে ‘পোড়া’মাংস রন্ধনের সহিত এক সঙ্গে বিস্তারিত লিখিত হইল। অনেকগুলি কাবাব বৈদেশিক হইলেও সকলগুলি সম্পূর্ণ বৈদেশিক বলিয়া বোধ হয় না। লিখিত ‘কাবাব’ রন্ধনপ্রণালী পর্য্যালোচনা কবিলে তাহা সর্ব্বত্র যে বরেন্দ্র রন্ধন প্রণালীর প্রতিকূল নহে তাহা প্রতিভাত হইতে পারে।

কাবাব (বৈদেশিক)

“বুভুজে দেবসাৎ কৃত্বা শূল্যমুখ্যঞ্চ হোমবান্।”—ভট্টিকাব্য।৪।৯

 ‘কাবাব’ নামটি বৈদেশিক হইলেও প্রাচীন ভারতবর্ষে মাংসের দ্বারা প্রস্তুত এবম্বিধ আহারীয় ভোজনের প্রথা অপ্রচলিত ছিল বলিয়া বোধ হয়। আমার কথার পোষকতায় ভট্টিকাব্য হইতে উপরি লিখিত শ্লোকার্দ্ধটি উদ্ধৃত করিয়া দিলাম। ভারতে মুসলমান আগমনের বহু পূর্ব্বে (খৃঃ সপ্তম শতাব্দে) ভট্টিকাব্য গ্রন্থ রচিত হইয়াছিল, সুতরাং তাহার উক্তি ‘বৈদেশিক’ ভাব প্রণোদিত বলিয়া মনে করিবার কারণ নাই। উদ্ধৃত শ্লোকার্দ্ধের অর্থ, “হোমকার্য্য সমাপনপূর্ব্বক (শ্রীরামচন্দ্র) শূলে এবং উবায় (স্থালীতে)