কিমা মাংসের সহিত উত্তমরূপে মাখিয়া কিমা আঁটিয়া বা বাঁধিয়া লও। ডিম্বের ফেনান শাঁসের দ্বারাও কিমা মাংস উত্তম আঁটিয়া লওয়া চলে। খানিকক্ষণ ঢাকিয়া রাখ। পরে এই কিমা মাংস লইয়া হাতে চাপিয়া ছোট, ছোট গোল গোল বা চেপ্টা চেপ্টা কোপ্তা বা টিকলি প্রস্তুত কর। এই টিকলি বা কোপ্তা গুলি লৌহ শিকে (শূলে) সারি সারি ফুঁড়িয়া গম্গমে প্রদীপ্ত অঙ্গারের উপর ধরিয়া ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া ঝল্সাও। মাংসে মধ্যে মধ্যে ঘৃত খাওয়াইবে যেন ছেঁচড়া পোড়া হইতে না পারে। সরস রহিয়া সুপক্ব হইলে নামাও।
এই হইল সাদা সিদে কুচা বা কিমা শিক কাবাব। যাঁহারা ইহাপেক্ষা অধিকতর মশলাদার কাবাব খাইতে ইচ্ছা করেন তাহারা উপরি লিখিত মশলাব সহিত ধনিয়া বাটা, জিরা বাটা, তেজ পাত বাটা, গরম মশল্লা বাটা, জাফরান, এবং ইচ্ছা করিলে তৎসহ আরও দধি, ভাজা মোয়া ক্ষীর, মালাই, বাদাম বাটা প্রভৃতি রুচি অনুসাবে মিশাইয়া কিমা মাংস ঝলসাইয়া লইত্বে পারেন। কিম কাবাবে বাটনা খুব মিহি হওয়া আবশ্যক নচেৎ তাহা কাঁচা থাকিয়া যাইবে, আবার কিমা মাংস অধিকতর মিহি হইলে তাহাতে কাঁচা বাট্না আদৌ না মিশাইয়া লঙ্কা, ধনিয়া, জিরা, তেজপাত ও গরম মশল্পাদি কাঠখোলায় বা ঘৃতে ভাজিয়া উত্তমরূপে পিষিয়া লইয়া কিমা মাংসের সহিত মিশান প্রশস্ত। পেঁয়াজ রশুন এবং বাদামও ঘৃত ভাজিয়া পিষিয়া লইয়া মিশাইতে হইবে।
কিমা মাংসের দ্বারা ছোট ছোট কোপ্তা না গড়িয়া—বিশেষতঃ কিমা মাংস মাখা গিলা গোছ হইলে—উহা শিকের উপর মুঠা করিয়া চাপিয়া লাগাইয়া দিয়া সূতার দ্বারা বাঁধিয়াও ঝল্সান. যাইতে পারে। ইহাকে 'মুঠী-কাবাব’ বলে। এইরূপ প্রণালী এবং মশল্লাদি ভেদে বিভিন্ন রকমের কুচা বা কিমা শিক-কাবাব হইয়া থাকে।