ঝোল টুকু জাল দিয়া কিঞ্চিৎ ঘন করিয়া ইহার উপর ঢালিয়া দিয়া খাইতে দাও। ওয়ারসেক্টরসায়ার সস্ এবং রাই সরিষার গুঁড়া সহ খাইতে ভাল।
এই সাদাসিদা রোষ্ট’ (Roast) বা ‘হাঁড়ি-কাবাব' রোগীর পথ্যরূপে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ইহা অবশ্য গুরু পাক করিয়া রাঁধাও চলে।
গুরুপক্ব হাঁড়ি-কাবাব—উপরিলিথিত মত রোষ্টর উপযোগী করিয়া প্রস্তুত পাখীর পেটের মধ্যে নিম্নলিখিত ভাবে প্রস্তুত কোন একটা পুর (Stuffing) ভরিয়া দিয়া পাখীর চামড়া ভাঁজাইয়া ফুটোর মুখ বন্ধ করিয়া পিঠের উপর আঁটিয়া দাও এবং লেজের দিকে লেজটা ভাঁজ করিয়া ঐ দিকের ফুট বন্ধ করতঃ নিচের দিকে পাখীর গায়ে ফুঁড়িয়া গুঁজিয়া দাও পাখীতে নুণ, গোলমরিচের গুঁড়া, আদা বাটা, পেঁয়াজ বাটা মাখিয়া কিছুক্ষণ ঢাকিয়া রাখ। হাড়িতে ঘি চাপাও। তাতিলে পাখী ছাড়। এপিট্ ওপিট করিয়া লালচে রং করিয়া কষ। গরম জল (আন্দাজ মত) দাও। ছোট-এলাচী, দারুচিনি ও খান দুই তেজপাত ছাড়। সুসিদ্ধ হইলে হাঁড়ি হইতে পাখী নামাইয়া পাঁচ টুকরা করিয়া কাটিয়া একখানা ডিসে বা পাত্রে সাজাও। অতঃপর ঝোলে আমের ভিনিগার-চাটনি (অম্লরস) এবং তৎপর একটু ময়দা মিশাইয়া জাল দিয়া গাঢ় করিয়া লইয়া পাখীর উপর ঢালিয়া দিয়া খাইতে দাও।
ব্রেজ (Braise)—একটী পাত্রে ঘি ছাড়িয়া তাতাও। ছোট এলাচি, দারুচিনি ও খান দুই তেজপাত, আদা বাটা, পেঁয়াজ বাটা, একটু লঙ্কা বাটা ছাড়িয়া কষাও। আমের চাট্নি (অম্লরস) ও লবণ মিশাও। একটু ময়দা মিশাও। নাড়িয়া চড়িয়া উপরি লিখিত বিধানে পক্ব রোষ্টের ঝোল (Gravy) টুকু ইহার উপর ঢালিয়া দাও। ফুটিলে তন্মধ্যে রোষ্ট পাখীটি পাঁচ টুকরা করিয়া কাটিয়া ছাড়। সব বেশ মিশিয়া থক্ থকে গোছ হইলে নামাও ‘ব্রেজ' রাঁধিতে স্থালীর ঢাকনের উপরও প্রদীপ্ত কয়লা