ডানার নিচে উপরি লিখিত বিধানে গুঁজিয়া দিয়া পাখীটি বেশ গোলগাল করিয়া রোষ্টের উপযোগী কর। এক্ষণে হাঁড়িতে ধৃত বা মাখন তাতাইয়া নুণ ও গোল মরিচের গুঁড়া মাখিয়া পাখী ছাড়। কম। সামান্য একটু জল দাও। ফুটিলে উনানের উপর হইতে সরাইয়া এক পার্শ্বে অল্প তাতে হাঁড়ি দমে বসাইয়া রাখ। মধ্যে মধ্যে দেখিবে যেন পুড়িয়া না লাগে। পাখী বেশ মোলায়েম হইলে পুনরায় উনানের উপর হাঁড়ি বসাইয়া বেশ করিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া পাখীটির লাল্চে রং করিয়া নামাও। অতঃপর পাখীটি অপেক্ষাকৃত বড় হইলে দুই টুকরা করিয়া কাটিয়া লও। ঝোলের সহিত সামান্য একটু জল এবং ওয়ারসেষ্টারপায়ার সস্ মিশাও। জ্বাল দাও। কর্ত্তিত পক্ষীর টুকরা গুলি হাঁড়ির মধ্যে পুনঃ ছাড়িয়া নাড়িয়া চাড়িয়া শুকাইয়া নামাও।
সরাইল, নারিয়াল (teal), হরিয়াল, ঘুঘু, স্নাইপ (চা), বগেরি, বটেরি, তিতির, বাটাম (plover), ডাহক প্রভৃতি অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট পক্ষীর রোষ্ট এই প্রকারে রাঁধিতে হয়। ইহার সহিত শুক্লা লঙ্কার গুঁড়া, ঘৃতে ভাজা পারুটীর গুঁড়া ও লেবুর রস মাখিয়া পাট আলু ভাজির সহিত খাইতে ভাল।
পক্ষীর ডেভিল (Devil)-পক্ষীর গ্রিল বা হাঁড়ী-কাবাব ঘৃতে ভাজিয়া পক্ষীটি উঠাইয়া রাখ। এখন ঐ ঘৃতে তেজপাতা, গরম মশল্লা ও পেঁয়াজ কুচি ছাড়িয়া কষ। লাল্চে হইলে কিছু ময়দা ছাড়। নাড়িয়া চাড়িয়া একটু গরম জল দাও। ভাজা পক্ষী ছাড়। কিছু অমের ভিনিগার-চাট্ কিমা করিয়া মিশাও। নাড়। ঝোল গামাখা গামাখা হইলে নামাও। পায়রা, হরিয়াল, ঘুঘু, বটেরী, ডাহুক প্রভৃতি অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট শীকারলব্ধ পক্ষীরই ভাল ‘ডেভিল’ প্রস্তুত হয়।
৫। মুছল্লম কাবাব।
বড় পক্ষী যথা হাঁস, কেপনাদি রোষ্টের উপযোগী করিয়া প্রস্তুত কর।