ব্যঞ্জন হইতে ‘ঝোল’ পর্য্যায়ের এই উভয়বিধ ব্যঞ্জনেরই আস্বাদনের যথেষ্ট তফাৎ আছে বলিয়া বোধ হয়।
ছেঁচ্কীতে পিঠালী ব্যবহৃত হয় না, তবে দুই এক ক্ষেত্রে তিল বা পোস্ত বাটা ব্যবহৃত হইয়া থাকে। তিল বাটা দিলে তাহাকে ‘খরখরি’ বলা হয়।
ছেঁচ্কীতে ও ঝোলে দুই এক ক্ষেত্রে দুটো সরিষা ফোড়নও দেওয়া যায়।
৭৬। লাউ ছেঁচ্কী
লাউ সরু সরু বা ছোট ছোট ডুমা করিয়া কুটিয়া লও, অথবা ছেঁচিয়া লও। তৈলে লঙ্কা, মেথি ফোড়ন দিয়া লাউ ছাড়। উত্তমরূপে আংসাও। নুণ, হলুদ দিয়া জল দাও। সিদ্ধ হইলে একটু চিনি দাও, জল শুকাইয়া বেশ নসনসে গোছ হইলে নামাও।
৭৭। শিম ছেঁচ্কী
শিমের শিরা ফেলিয়া দিয়া ছোট ছোট খণ্ডে কুটিয়া লও। একটু ভাপ দিয়া লও। তৈলে লঙ্কা মেথি ফোড়ন দিয়া শিম ছাড়। উত্তমরূপে আংসাও। নুণ, হলুদ ও একটু লঙ্কা বাটা জলে গুলিয়া ঢালিয়া দাও। সিদ্ধ হইলে একটু চিনি মিশাও। শুকাইয়া নস্নসে গোছ হইলে নামাও।
কাঁকরোল, ডুমুর, স্কোয়াস, মূলা, ওলকোবি, সালগম প্রভৃতির এই প্রকারে ছেঁচ্কী রাঁধিবে।
৭৮। লাউ-ভাদালে ছেঁচ্কী
লাউ ও গাভথোড় সরু সরু বা ছোট ছোট ডুমা করিয়া কুটিয়া লও। থোড়ে কিছু লবণ মাখিয়া খানিকক্ষণ রাখিয়া পরে চিপিয়া জল ফেলিয়া লও। তৈলে লঙ্কা, কালজিরা ও মেথি ফোড়ন দিয়া লাউ ভাদাল ছাড়। আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া একটু জল দাও। সিদ্ধ হইলে একটু চিনি দাও। শুকাইয়া