নসনসে হইলে নামাও। লাউ-মূলাতেও এইরূপ ছেঁচ্কী রাঁধিবে। বুড়া মূলা হইলে ভাপ দিয়া লইবে। তাহাতে কালজিরা ফোড়ন দিবার প্রয়োজন নাই।
৭৯। মোচা ছেঁচ্কী
মোচার ভিতরের ফুল-কলার ফুল কাটিয়া ফেলিয়’ ছুলিয়া একটু লম্বা ছাঁদে কুটিয়া লও। গাভথোড় একটু মোটা মোটা রাখিয়া কুটিয়া লও। গাভথোড় পাৎলা পাৎলা করিয়া কুটিয়া লইলে তৈলে ভাজিলে চিমড়াপনা হইয়া যাইবে। থোড়ে একটু নুণ মাখিয়া খানিকক্ষণ পরে জল চিপিয়া লও। তৈলে লঙ্কা ও কালজিরা ফোড়ন দিয়া মোচা ও গাভথোড় ছাড়। আংসাও। (ইহা অধিক আংসাইলে চিমড়াপানা হইয়া যাইবে।) নুণ হলুদ দিয়া জল দাও। সিদ্ধ হইলে চিনি দাও। শুকাইলে নামাও। এই ছেঁচ্কী মোলায়েম হইবে কিন্তু নসনসে হইবে না।
শুধু গাভথোড় ছোট ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া এই প্রকারে ছেঁচ্কী রাঁধিবে।
গাভথোড় ছেঁচ্কীতে পরিশেষে তিল বাটা মিশাইয়া শুকাইয়া নামাইলে তাহা থোড়ের ‘খরখরি’ হইবে। মূলা প্রভৃতিরও ‘খরখরি’ হয়।
৮০। পেঁয়াজ কলি (বা ফুল্কা) ছেঁচ্কী
পেঁয়াজ কলি ছোট ছোট করিয়া কুটিয়া লও। বেগুন ছোট ছোট ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া লও। তৈলে লঙ্কা, মেথি ফোড়ন দিয়া ছাড়। আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া ঈষৎ জল দাও। শুকাইয়া নসনসে হইলে নামাও। শিমের সহিতও পেঁয়াজ কলির ছেঁচ্কী হইতে পারে। রাঁধাকোবি, ফুলকোবির পাতার সহিত ও প্যাঁজকলির উত্তম ছেঁচ্কী রাঁধিতে পারা যায়।
৮১। সজিনা ফুলের ছেঁচ্কী
সজিনা ফুল বাছিয়া লইয়া ভাপ দিয়া জল গালিয়া ফেলিয়া লও। বেগুন