পাতা:বর্ণপরিচয় - দ্বিতীয় ভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (৬১তম সংস্করণ).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৩৩ ]

বক, চক্রবাক প্রভৃতি জলচর পক্ষী আনন্দে কেলি করিতে থাকে। তাল, লেবু, সুপারি, নারিকেল প্রভৃতি নানাবিধ ফল পক্ক হইয়া উঠে।

 শরৎকালে সমুদয় মাঠ ধানের গাছে পরিপূর্ণ দেখিয়া, নয়নের বড় প্রীতি হয়। হে শিশুগণ! সকালে বিকালে যদি মাঠের দিকে বেড়াইতে যাও, ধানের শোভা দেখিয়া বড় আহ্লাদ পাইবে। শরৎকালের রৌদ্র প্রচণ্ড ও অপকারক কদাচ শরীরে লাগাইও না, লাগাইলে নিশ্চিত পীড়া হইবেক।


হেমন্ত।

কার্তিক অগ্রহায়ণ দুই মাস হেমন্ত। এই কালে উত্তর দিক হইতে অল্প অল্প শীতল বায়ু বহিতে আরম্ভ হয়, এবং অল্প অল্প শীত অনুভব হইতে থাকে। রাত্রিকালে এত হিম পড়ে যে, প্রভাতে বোধ হয় যেন বৃষ্টি হইয়াছে।

 হেমন্তকালে মনুষ্যেরা শীতবস্ত্র ব্যবহার করিতে