δ Ο ο বিংশশতাব্দীর কুরুক্ষেত্ৰ । করিতে হইবে। এখানেও নিজ পোল প্ৰজাগণের বিদ্রোহ আশঙ্কা করা অতি স্বাভাবিক। ফলতঃ বিজিত পোলগণের বিদ্রোহ ভয় করিয়াই রুশিয়া তাহাদিগকে এবং তাহাদিগের অন্যান্য স্বজাতিগণকে স্বাধীনতার আশা দিতেছেন। এই জন্যই তিনি জাৰ্ম্মাণির পোলদিগকে বলিতেছেন “তোমরা জাৰ্ম্মাণির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হও-আমার গোলাদিগের সঙ্গে মিলিয়। যাও । তোমরা জাৰ্ম্মাণির ক্ষমতায় ভীত হইও না। আমি । তোমাদিগকে রক্ষা করিব।” অষ্টিয়ার গোলগণকেও রুশিয়া বলিতেছেন -“অষ্টিয়ার দাসত্ব ছিন্ন করিয়া তোমরা স্বাধীন হইয়া দাড়াও । আমি তোমাদের ত্ৰিধাবিভক্ত পেলজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করিয়া দিব । এবং অষ্টিয়া ও জাৰ্ম্মাণির বিরুদ্ধে সৰ্ব্বদা তোমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করিব।” সমগ্ৰ পোল্যাণ্ড রুশিয়ার স%ায়তা না করিলে তিনি জাৰ্ম্মাণি ও অষ্টিয়ার : বিরুদ্ধে নিতান্তই পঙ্গু। কাজেই পোল্যাণ্ডের স্বাধীনতা ও ঐক্যােপ্রতিষ্ঠা ঘোষণা করাই রুশিয়ার সর্বপ্রথম চাল হইল। ইহার নাম Military necessity, ইহার ভিতরে উচ্চ ভাব, জাতীয়তার সম্মান, স্বাধীনতার গৌরব প্রচার ইত্যাদি বিন্দুমাত্র নাই । রুশিয়ার এই কাণ্ড দেখিয়া, ঐতিহাসিকেরা বিস্মিত হইবেন না। ’ অথচ তাহার আবেগময় প্ৰেমালিঙ্গন দেখিয়া কেহই হাস্য সংবরণ করিতেও পারবেন না। কারণ পোল্যাণ্ডের বর্তমান দুৰ্দশার জন্য । প্রথমতঃ এবং মূখ্যতঃ রুশিয়াই, দায়ী। রুশিয়াই পোল্যণ্ডকে বখাৱা , করিয়া লইবার কৌশল দেখাইয়াছিলেন। তঁহার দেখাদেখি অষ্টিয়া । এবং প্রশিয়া (বৰ্ত্তমান জাৰ্ম্মাণির মূল) এই ভাগ বাটোয়ারায় যোগদান। করেন। আর এক কথা এই ভাগবাটোয়ার কাণ্ডে রুশিয়াই সৰ্বাপেক্ষা বেশী অংশ লাভ করিয়াছেন। সৰ্ব্বসমেত তিনবার এই ब्राकौ जोश t १ ছিল। তিনবারই রুশিয়ার হিন্ত |ায় “সিংহের ভাগ” yte .
পাতা:বর্ত্তমান জগৎ তৃতীয় ভাগ.pdf/১২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।