পাতা:বর্ত্তমান জগৎ তৃতীয় ভাগ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশশতাব্দীর কুরুক্ষেত্র সময় বুঝিয়া জেলার প্রয়োগ করিও”—এই উপদেশ প্রচার করিয়া তুমি তোমার শিষ্য ও ভক্তগণকে সর্বদা সাবধান করিয়া রাখ। ম্যাকিয়াভেলিনীতি এবং চাণক্যনীতি ছাড়া রাষ্ট্রমণ্ডলে আর কোন নীতি নাই। অথচ ম্যাকিয়াভেলি এবং চাণক্যকে গালি দেওয়াই সকল রাষ্ট্রবীরের একটা ‘ফ্যাশন’। যে নীতি অবলম্বন করিয়া তুমি কাৰ্য্য করিতেছ। সমাজে বৈঠকে সম্মিলনে বক্তৃতায় সেই নীতির বিরুদ্ধেই গলাবাজী করার নাম রাষ্ট্রনীতিজ্ঞতা ও ডিপ্লমেসী ! হায় বিজ্ঞান, আজ তোমার কি দুৰ্দশা । উনবিংশশতাব্দীর দ্বিতীয় পাদ হইতে তোমার প্রসাদ লাভের জন্য কত সহস্ৰ সাধকই না তাহদের প্ৰাণপাত করিয়াছেন। তঁহাদের সাধনা সিদ্ধিলাভই কি কম করিয়াছে ? বিজ্ঞান তুমি, পৃথিবীর দূরত্ব কমাইয়া ফেলিয়াছ-সমস্ত জগৎকে একটি পল্লীর আকার ও বিস্তৃতি প্ৰদান করিয়ােছ। কিন্তু আজ একদিনের কৰ্ম্মফল কি দেখিতেছি ? ৫০ । ৭৫ ৷৷ ১০ • বৎসরের সকল আবিষ্কার এক নিমেষে ধূলিসাৎ হইয়া গেল। তারহীন বাৰ্ত্তাবহকে আমরুম নব্য বিজ্ঞানের চরম আবিষ্কার বলিয়া জানি। কিন্তু তাহাই এই কুরুক্ষেত্র সমরে মহাবিপজ্জনক বস্তু। কাল পৰ্য্যন্ত যাহার সাহায্যে নিউইয়র্কের লোকেরা বালিনের সঙ্গে কথা বলিয়াছেন। আজ তাহাই পরস্পরের চলাফেরার প্রতিবন্ধক। কোন রাষ্ট্রে -কখন কোথায় কত সৈন্য मब्रिहदभिङ হইল তাহা যদি পরস্পর জানিয়া । ফেলে তবে যুদ্ধে জয়লাভ করা কঠিন। পরস্পরের মধ্যে সংবাদ বন্ধ করাই পরস্পরের স্বার্থ। কাজেই তারহীন বাৰ্ত্তবাহগুলি ভাঙ্গিয়া চুরিয়া' ফেলা বৰ্ত্তমান সংগ্রামকারিদিগের নিতান্ত কৰ্ত্তব্য । কোথায় ব্যবসায়ীরা ভাবিতেছিলেন লণ্ডন হাহতে ভারতবর্ষ পৰ্য্যন্ত স্থলপথে সোজা রেললাইনু । বসান হইবে-এদিকে যুদ্ধ ঘোষণার পরীক্ষণ হইতেই দেখিতেছি, ইংল্যাণ্ডের |