পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दéभांना अभं९ মানবজাতির একটা নূতন শাখা সম্বন্ধে ইংরাজ-জনগণ এই অভিনয় দেখিয়া যথেষ্ট জ্ঞান লাভ করিতেছেন। ইহা প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে মুসলমানসভ্যতার একটা মিউজিয়াম, সংগ্ৰহালয় বা প্ৰদৰ্শনী। ইতিহাসের নানাগ্ৰন্থ পাঠ করিয়া শিক্ষিত ইংরাজের যত শিখিয়াছেন, এই অভিনয় দেখিয়া ইংলণ্ডর জনসাধারণ তাহা অপেক্ষা বেশী অভিজ্ঞতা লাভ করিতেছে। ইহাই ‘কিস্মেত' অভিনয়ের বিশেষত্ব ও গৌরব। কিন্তু এই খানেই আবার ইহার অসম্পূর্ণতা। একটা বায়স্কোপের যে ফল, একটা সিনেম্যাটোগ্রাফের যে ফল, এই অভিনয়েরও ঠিক সেই ফল, বুঝিতে পারিলাম। থিয়েটারের অভিনয়-কলাকে সাধারণ দৃশ্য-প্রদর্শনের সমান করিয়া ফেলা হইয়াছে। কাজেই উচ্চ অঙ্গের অভিনয়-রীতির স্থান এই নাটকে অত্যািল্ল । ছবি দেখা, বিচরণশীল মূৰ্ত্তি দেখা, ভিন্ন ভিন্ন স্থানের দৃশ্য দেখা, নানা জাতির স্বভাব দেখা, বিচিত্র রীতিনীতির সজীব বিবরণ দেখা-এই সমুদয়ই কিস্মেতের প্রাণ । কিস্মেতে কাব্যকলা এবং নাট্যশিল্প অপেক্ষা ম্যাজিক-লণ্ঠনের দ্বারা চিত্ৰপ্ৰদৰ্শনের ভাব বেশী পাইলাম। তাহার দ্বারা জিনিষগুলি খুব ভালরূপেই মনে স্থান পায় সত্য ; কিন্তু কাব্য হিসাবে, অভিনেতাদিগের কৌশল হিসাবে, নাট্যকারের চরিত্র বিশ্লেষণ করিবার ক্ষমতা হিসাবে, নাটকের গল্প-রচনা হিসাবে এই অভিনয় হইতে আমরা উল্লেখযোগ্য কিছুই পাই না। কেবল নাচ, গান, লোক পরিবর্তন, দৃশ্য পরিবর্ভন দেখিতেছি। প্রত্যেক দৃশ্যেই নূতন নূতন জিনিষ দেখিয়া গ্ৰীত হইতেছি। যেন এক নিঃশ্বাসে মিশরের সকল নগর ঘুরিয়া আসিলাম। গল্পাংশের পারস্পৰ্য্য মনে না। রাখিলেও ক্ষতি হয় না। যেখানে সেখানেই চিত্তাকর্ষক ঘটনা ও দৃশ্য পাওয়া যায়। . কাজেই কিস্মেত দেখিয়া মোটের উপর দুইটা ধারণা স্পষ্ট হইল।