পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So বৰ্ত্তমান জগৎ ছাত্রের সঙ্গে গল্প করিতে লাগিলাম! ইনি লাহোর হইতে ১৮ বৎসর বয়সে এম, এ পাশ করিয়া এখানে গণিতশাস্ত্ৰে ট্রাইপস ( বা অনার) কোস অধ্যয়ন করিতেছেন। সঙ্গে সঙ্গে সিবিল সার্বিসের চেষ্টাও আছে। দেখিতে দেখিতে দুইজন মান্দ্ৰাজী ছাত্র আসিলেন। ইহঁদের একজন ইতিমধ্যে সিবিল সার্বিস পাশ হইয়াছেন। নবেম্বর মাসে কৰ্ম্মস্থলে গমন করিবেন । ইহঁদের সঙ্গে গল্প করিতে করিতে কেন্বিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন কথা ভাবিতে লাগিলাম। এই বাগানে ইংরাজজাতির কত বড় বড় লোক বিচরণ করিয়া গিয়াছেন । এই এলামতরুসমূহ কত প্ৰসিদ্ধ পণ্ডিতগণের স্মৃতি বহন করিয়া দণ্ডায়মান ! কিন্তু ভারতীয় ছাত্রেরা ইহা হইতে কোন উৎসাহ পায় কি ? আজকাল পৃথিবীতে যতগুলি বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাহার মধ্যে কাইরো নগরের “এল-অ্যাজার” বা মসজিদ-বিশ্ববিদ্যালয় সৰ্ব্ব প্ৰাচীন । খ্ৰীষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে ইহার প্রতিষ্ঠা । তারপর নবম শতাব্দীতে প্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। তাহারও দুই শতাব্দীর পরে কেন্থি জের ভিত্তি প্ৰতিষ্ঠা । কেম্বি জ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব প্রাচীন কলেজের নাম “সেইণ্টপিটারহল-কলেজ।” বলাবাহুল্য, আমাদের তক্ষশীলা ও নালন্দা এবং মুসলমানদিগের এল-আজার ইত্যাদি বিদ্যালয়ের ন্যায় কেন্থিজ বিদ্যালয় প্ৰথম অবস্থায় প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে ধৰ্ম্ম-শিক্ষারই একটা প্ৰতিষ্ঠান ছিল। কাজেই গির্জার প্রাধান্য এখানে খুব বেশী। প্রাচীন গৃহগুলি মঠের সন্ন্যাসিগণের বাসভবন স্বরূপ বুঝিতে পারা যায়। প্ৰাচীন কথা ভাবিতে ভাবিতে হিন্দুস্তানী, পাঞ্জাবী এবং মান্দ্ৰাজী বন্ধুগণের সঙ্গে টিনিটি কলেজের অভ্যন্তরস্থ একটা ছাত্ৰগৃহে প্ৰবেশ করিলাম। কলিকাতায় ইডেন হিন্দু হোষ্টেল ইত্যাদি ছাত্ৰাবাস অপেক্ষা এখানকার ঘরগুলি স্বাস্থ্যকর বলিয়া বোধ হইল না । এখানে একজন