পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nò Sò R दéभन्न अं१९ শিক্ষক ও ছাত্রের যোগসাধন অতি অল্প । অধ্যাপকগণের সহবাস কোন ছাত্রই পায় না বলা যাইতে পারে । Residential বিশ্ববিদ্যালয় যে আমাদের সনাতন ‘গুরুগৃহ’ ও ‘আচাৰ্যকুল’ হইতে কত স্বতন্ত্র, তাহ! কেন্থি জে আসিয়া সত্যভাবে বুঝিলাম। চরিত্র-গঠন, জীবন বিকাশ, ভবিষ্যতের আদর্শ-সৃষ্টি, ধৰ্ম্ম-বিজ্ঞান ইত্যাদির পুষ্টিসাধনে ছাত্রেরা অধ্যাপকের কোন সাহচৰ্য্য ত পায়ই না। এমন কি, লেখাপড়া, গ্রন্থপাঠ, মানসিক শিক্ষা, ইত্যাদি সম্বন্ধে ও ছাত্র এবং শিক্ষকে আদান প্ৰদান ও ভাবিবিনিময় অতি অল্প । অধ্যাপকগণের কোন প্রভাবই কেম্বি, জ-বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা পায় না । কাজেই ভারতীয় ছাত্রেরা কেম্বিজে আসিয়া বিশেষ উপকৃত হয় না, এইরূপ আমি বিবেচনা করি । অবশ্য দৈবক্রমে সুযোগ অনেক আসিয়া জুটিতে পারে—তাহার ফলে হয় ত কোন ছাত্ৰ কোন অধ্যাপকের সাহচৰ্য্য বেশী লাভ করিল । কিন্তু তাহার উপর ত নির্ভর করা যায় না । কিন্তু বিলাতী ছাত্রদের কথা স্বতন্ত্র । তাহারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মেই যত শিখিতে পায় আমার বিশ্বাস ভারতীয় ছাত্রেরা তত শিখিতে পায় না। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় হইতে তাহদের জন্য নূতন কতকগুলি সুযোগ বা অধিকার সৃষ্ট করা হইয়াছে তাহা নহে । আমার বিশ্বাসের অন্য কারণ আছে । প্রথমতঃ, ইহারা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিবার পূর্বে অনেক বিষয় শিখিয়া থাকে। সাধারণ পাঠশালায় ইহারা জগতের সকল পদার্থ সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করে । ইহাদের কাণ্ডজ্ঞান বেশী বিকশিত হয়। আমাদের বি, এ, উপাধিধারী ছাত্রেরা মোটের উপর যতদিকে দৃষ্টি ফেলিতে সুযোগ পায় এখানকার ছাত্রেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিবার পূর্বে তদপেক্ষা বেশী দিকে দৃষ্টিসম্পন্ন হয়। অধিকন্তু ইহাদের হস্ত-পদ চক্ষু-কর্ণসকল