পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১২৫

ऊाद्रऔघ्र छाcऊद्र ब्लाङाब्लाङ Syst এখানকার ভারতীয় ছাত্রেরা নিজের কথাই বেশী ভাবে-দেশের কথা ও সমাজের কথা এবং জাতীয় ভবিষ্যতের কথা আদৌ ভাবে না । যেটুকু ভাবে তাহা অলীক বাগাড়ম্বরপূর্ণ ও নিরর্থক । তাহার মূল্য অতি সামান্য মাত্র । এজন্যই নিজ নিজ সম্মানের কোন ক্ৰটি হইলে ইহারা সহ করিতে পারে না । তাহার যথেষ্ট কারণও আছে । ইহারা প্ৰায় সকলেই ধন্যবানের পুত্ৰ-ই তাদের পয়সার অভাব নাই । যাহারা টাকা খরচ করিয়া ব্যারিষ্টারী শিখিতে আসে তাহদের পক্ষে ব্যক্তিগভ এবং পরিবারগত মান-সন্ত্রমের কথা ভুলিয়া থাকা অসম্ভব। কাজেই কাহাকেও ক্ষমা করা এবং নিজে ক্ষতি স্বীকার করা ইহাদের স্বাভািববিরুদ্ধ । ভারতবর্ষে আমাদের জননায়কগণের যেরূপ পরস্পর বিদ্বেষ ও অনৈক্য র্তাহঁদের সন্তানগণের মধ্যেও সেইরূপ ভাব থাকিবে তাহার আর আশ্চৰ্য্য কি ? ব্যক্তিগত স্বাৰ্থসিদ্ধির কথা ভাবা অতি সহজ। জাতিগত, সমাজগত এবং দেশগত চিন্তাপ্ৰণালী অবলম্বন করা সকলের পক্ষে সহজ নয় । কিন্তু একবার সেই আদর্শ হৃদয়ে স্থান পাইলে মানুষের দায়িত্বজ্ঞান জাগে-নিজকে ভুলিয়া থাকিবার প্রবৃত্তি জন্মে। তঘন নিজকে ছোট করিয়া ও সমষ্টিগত কৰ্ম্মে লিপ্ত থাকা যায়। কিন্তু সে আদশ ভারতসমাজে এখনও বেশী পরিমাণে সৃষ্ট হয় নাই । কাজেই ব্যক্তিগত বিরোধ ভুলিয়া জাতিগত সম্মান পুষ্ট করিবার প্রবৃত্তি এখনও । दिकsिऊ श्ख्न नाशे । কেন্থি, জি-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ছাত্রসমাজের এই শোচনীয় চিত্র দেখিলাম। বুঝিলাম, ইণ্ডিয়ান ন্যাশন্যাল কংগ্রেসেরই একটা ক্ষুদ্র ংস্করণের অভিনয় সাত সমুদ্র তের নদী পারেও চলিতেছে। আর ভাবিয়া দুঃখিত হইলাম-ইহারাই কয়েক বৎসর পরে নিজ নিজ প্রদেশের জন-নায়ক হইয়া বসিবে !