পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিলাতের গ্রন্থ-ব্যবসায় àRG বা লিভারপুল। ইংলেণ্ডের সকল প্রকার শক্তির চরম দৃষ্টান্ত এই মহানগরীর ভিতর পুঞ্জীকৃত রহিয়াছে। ক্ৰমশঃ কৃষিভূমি দৃষ্টিগোচর হইতে লাগিল। ভাবিলাম, ইলণ্ডকে কেবলমাত্র কলকারখানার দেশ বলা নিতান্তই অন্যায় । ফ্রান্সে দেখিয়াছি, কৃষি ও শিল্প দুইই সমানভাবে বিদ্যমান। ইংলণ্ডেও কৃষির আয়োজন মন্দ কি ? অবশ্য এখন পৰ্য্যন্ত ইংলণ্ডে ফ্রান্সের মৃত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখিতে পাই নাই। এই সকল কৃষিভূমির স্থানে স্থানে ইটের পাজা । বিজ্ঞাপন দেখিয়া বুঝিলাম, লণ্ডনের বড় বড় কারবারের স্বত্বাধিকারীরা এই সকল ইষ্টক কারখানার মালিক । h যথাস্থানে পৌঁছিয়া দেখিলাম, আমার বন্ধু মূক এবং বধির। কিন্তু লেখা পড়া বেশ শিখিয়াছেন । কেবল তাহাই নহে, উচ্চ অঙ্গের সাহিত্য রচনায় ইনি নবীন গ্ৰন্থকারগণকে নানা প্ৰকার সাহায্য করিতেও 'অভ্যস্ত । এই প্ৰকার কাৰ্য্য করিয়াই ইনি জীবিকা অৰ্জন করিয়া থাকেন । এতদ্ব্যতীত টাইপরাইটং কাজও ইহঁর আছে। লেখকের। ইহঁর নিকট হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি পাঠাইয়া দিলে ইনি প্রয়োজনমত সংশোধন পূর্বক টাইপ করিয়া দেন। প্ৰত্যেক হাজার শব্দের জন্য ইনি এক টাকা মাত্র গ্রহণ করিয়া থাকেন। বলা বাহুল্য, ইনি গ্রন্থের সূচীপত্র এবং নির্ঘণ্ট পত্র ইত্যাদি প্ৰস্তুত ও করিতে পারেন । ইংলণ্ডের লোকেরা সকল বিষয়েই আজ কাল শ্রমবিভাগ-নীতি মানিয়া কাৰ্য্য করে। সাহিত্যের কথাই ধরা যাউক । সাহিত্য এখানে একটা ব্যবসায় বিশেষ। অন্যান্য ব্যবসায়ের যে নিয়ম এই ব্যবসায়ে ঠিক সেই নিয়ম চলে । সাহিত্য-সেবীরা কৃষকস্বরূপ বা সুত্রধর বা কৰ্ম্মকারের ন্যায় বিবেচিত হয় । ইহাদের তৈয়ারী কাৰ্য্য বাজারে বিক্ৰী হয় ।