পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दéन ख°ीं९ مع\ চলিয়া গিয়াছে। এক্ষণে র্যাহারা রবীন্দ্ৰ-কাব্যের আলোচনা বা সমাদর করেন। তঁহাদের মধ্যে অনেকেই পল্লব গ্ৰাহী এবং ভাসা ভাসা, কেহ কেহ অবশ্য গভীর দৃষ্টিসম্পন্ন সন্দেহ নাই।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “সুইডিস কবি ইবসেন এবং রুশ টলষ্টয় বা ডক্টয়েবৃস্কি ইংরাজীসাহিত্যে যে প্রভাব বিস্তার করিতেছেন বা করিয়াছেন ভারতের রবীন্দ্রনাথ তাহা করিতেছেন বা করিবেন কি ?” । কবি উত্তর করিলেন, “রুশ বা সুইডিস সাহিত্যের একটা বিশেষত্ব আছে । উনবিংশশতাব্দীর পাশ্চাত্য সমাজতন্তু এই সাহিত্যের আলোচিত বিষয়। উহাতে সেই যুগের আদর্শ ও জীবনযাপন প্রণালীই বর্ণিত হইয়াছে। কাজেই যথাসময়ে তাহার আদর হইয়াছিল। তাহার পর ইউরোপে নূতন নূতন আকাজক্ষা জাগিতেছিল- নূতন অভিজ্ঞতা, নূতন তথ্য সংগ্ৰহ, নূতন কৰ্ত্তব্যপালন এবং নৃতন জীবনযাপনের ফলে নূতন দিকে পাশ্চাত্য-জনগণের দৃষ্টি পড়িতেছিল। রবীন্দ্রনাথ সেই নব বিকাশমান দৃষ্টিশক্তির উন্মোচনে সাহায্য করিয়াছেন। ঠাকুর মহাশয় কোন সমস্যার মীমাংসা আনিতে পারেন নাই । ইংরাজেরা বা ইউরোপীয়ে বা তাহার কাৰ্য্যে ইবসেন। টলষ্টয়ের তত্ত্ব-প্রচার পাইবেন না। জীবনযাপন, কৰ্ত্তব্যপালন, রাষ্ট্রগঠন, সমাজসেবা ইত্যাদি বিষয়ে রবীন্দ্ৰনাথ পাশ্চাত্যজাতিকে কোন আদর্শ দিতে পারেন। নাই ! নূতন প্রকার সৌন্দৰ্য্যের স্রষ্টা হিসাবেই রবীন্দ্ৰনাথ এদেশে আদৃত হইতেছেন-নূতন জগতের বাৰ্ত্তাবহ হিসাবেই ঠাকুর মহাশয়ের সম্বৰ্দ্ধনা হইয়া থাকে । ইহাই রবীন্দ্ৰনাথের গৌরব । ইনি বিংশশতাব্দীর পাশ্চাত্য মানবকে নূতন চক্ষু প্ৰদান করিলেন বলা যাইতে পারে।” ইনি আরও বলিলেন, “রবীন্দ্ৰকাব্য ভবিষ্যতে এদেশে পঠিত না হইতেও পারে। কিন্তু তঁাহার প্রভাব থাকিবেই। ফুলের পাপড়ি শুকাইয়া