পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় শিক্ষার কথা একজন গ্ৰন্থকার ও অধ্যাপক চা-পানের নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন । সন্ধাকালে ইহঁর গৃঙ্গে দুই ঘণ্টা কাটাইলাম। ইনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীক সভ্যতা সম্বন্ধে বক্তৃতা দিয়া থাকেন। তিনি সেখানকার ভারতীয় ছাত্রগণকে ভালরকম জানেন। ভারতীয় ঐতিহাসিকগণের নামও শুনিয়াছেন । কিছুকালের জন্য ভারতবর্ষে বেড়াইতে গিয়াছিলেন। পুনরায় যাইবেন, বলিলেন। পণ্ডিতটির নাম বে। ভান । সম্প্রতি lindian Nationalism ata(Kë পুস্তিকা लिथिaigछन । ধৰ্ম্মশিক্ষা সম্বন্ধে আলোচনা হইল। ইনি ইউরোপের অন্য কোন দেশের শিক্ষাপ্ৰণালীর খবর রাখেন না । ফ্রান্সে কোন ধৰ্ম্মশিক্ষা নাইএজন্য ঐ সমাজে কুফল ফলিতেছে-এইরূপ ইহঁর মত। ভারতবর্যেও ধৰ্ম্মশিক্ষার অভাবে কুফল ফলিবে, ইহাই ইনি অনুমান করেন । ইহার মতে বিলাতেও ধৰ্ম্মশিক্ষার সমস্যা সন্তোষজনকভাবে এখন পৰ্য্যন্ত भौशांशमिड ट्रव्र माझे । এদেশে ধৰ্ম্মশিক্ষা প্ৰণালী লইয়া প্ৰধানতঃ তিনপ্রকার মত আছে। প্রথমতঃ, ইংলেণ্ডের প্রত্যেক সম্প্রদায়ই তাহার নিজ নিজ মতাবলম্বী ছাত্ৰছাত্ৰীগণের জন্য স্বতন্ত্র বিদ্যালয় স্থাপন করুক। ভারতবর্ষে হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও মুসলমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইলে এই মতানুসারে কাৰ্য্য করা হইবে। দ্বিতীয়তঃ, ইংরাজসমাজে ধৰ্ম্মশিক্ষার আদৌ কোন প্রয়োজন নাই। বিদ্যালয়ের গণ্ডীর ভিতর ধৰ্ম্মের আলোচনা অনাবশ্যক। এই মতানুসারেই ভারতগাবমেন্ট বিদ্যালয় হইতে ধৰ্ম্ম-শিক্ষা নিৰ্বাসিত করিয়াছেন ।