পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিলাতের উদীয়মান দার্শনিক SW গৃহের উপর বিভিন্ন কলেজের পতাকা উড়িতেছে। গৃহের ছাদ ও প্রাচার এবং বজরার সকল স্থান কলেজের ছাত্রে পরিপূর্ণ। ছাত্রদিগের সঙ্গে তাহদের দর্শক-বন্ধু ও বহু আসিয়াছেন । নদী অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ। কাজেই পাশাপাশি * নৌকা চালান যাইতে পারে না। এই কারণে প্ৰতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পরাজয় পরীক্ষা করিবার জন্য এখানে বিচিত্র রীতি উদ্ভাবিত হইয়াছে । দশ বার খুন। নৌকা পরে পরে সাজান থাকে । ছাড়িবার সময়ে যে কোন দুই খান নৌকার ভিতর সমপরিমাণ দূরত্ব রক্ষা করা হয়। বাহিতে বাহিতে যে নৌকা সম্মুখের নৌকাকে স্পর্শ করিতে পরিবে তৎক্ষণাৎ তাহার জয় ঘোষিত হইবে। বাঙ্গালাদেশে, এমন কি কাশীতেও, বিজয়াদশমীর দিন এবং অন্যান্য উৎসবকালেও এইরূপ নৌবিহার ও নৌচালন-প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধুম দেখা যায়। দশহরা পূজায় বাহিচ-উৎসব বোধ হয় প্রত্যেক জেলায়ই অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে। অক্সফোর্ডের উৎসাহ, আনন্দ, জীবন বত্তা ও প্রতিযোগিতা দেখিয়া আমাদের বাহিচের কথাই মনে পড়িল । এদেশের লোকেরা এই সকল উৎসবকে জাতীয় জীবনের অন্যতম পরিপুষ্টির কারণ বিবেচনা কবিয়া থাকে। যেখানে সেখানে এই সমুদয়ের বাড়াই করিয়া থাকে। ভারতসমাজেও এইরূপ বাহিচ-উৎসবে জাতীয় চরিত্র অজ্ঞাতসারে কম। গঠিত হয় না। কিন্তু আমরা জ্ঞাতসারে এগুলির সার্থকতা ও উপকারিতা বুঝি না বা বুঝাইতে চেষ্টা করি না। এমন কি, কেহ এগুলির যথার্থ মূল্য প্রচার করিতে অগ্রসর হইলে তঁহাকে অপদস্থ করিতে ও প্ৰবৃত্ত হই। মনে হয়, ইনি অনর্থক ফেনাইয়া বক্তৃতা করিতেছেন ! যাহ; হউক, ভারতবাসীর মতিগতি দেশের মাটির দিকে ফিরিয়াছে। তাই মাঝি, মাল্লা, ছুতার মিস্ত্রী ইত্যাদির জীবনের দিকে ਝ পড়িয়াছে। রামলীলা, ভারতবিলাপ, গম্ভীরা, বাহিচ, গাজন, বাউল ইত্যাদি এখন আদৃত হইতেছে। Σ Σ