পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brげ द525 अ9S অনূদিত হইয়া গিয়াছে। সম্প্রতি বার্গসে। স্বয়ংই অক্সফোর্ডে নিজ মতবাদ প্রচার করিয়া গিয়াছেন । এক্ষণে বোধ হয় তিনি এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতেছেন । বার্গসে যে অধ্যাত্মবাদ ও ভাবুকত আনিয়াছেন তাহাঁ নব্য ইউরোপের পক্ষে নূতন । এই নূতন দিকে ইউরোপীয় চিন্তা ধাবিত হইবে । অধ্যাপক ম্যাকডুগাল মনোবিজ্ঞানের আলোচনায় স্বাধীনভাবে সেইদিকেই অগ্রসর হইয়াছেন ৷” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আমেরিকা হইতে ইংরাজ-সভ্যতা। কখনও কোন প্রভাব লাভ করিয়াছে কি ?” ইনি বলিলেন, “পূর্বে এমার্সনের প্রভাব যথেষ্টই ছিল। এমাসনের পর উল্লেখযোগ্য কাহাকেও পাই না । কবি হুইট্‌ ম্যান ইংলণ্ডে আদৃত হইতেন । সম্প্রতি প্যােগ ম্যাটিজম-প্ৰবৰ্ত্তক জেমস ইংরাজ দার্শনিক গণকে প্রভাবান্বিত করিতেছেন। কিন্তু মোটের উপর বলা যায়, আমেরিকা ইংরাজ সমাজকে বিশেষ কিছু দান করে নাই । আমরা আমেরিকার কথা না ভাবিয়াই জীবনধারণ করিয়া থাকি।” ইংলেণ্ডে বিশ্বশক্তির প্রভাব আলোচনা উপলক্ষ্যে অধ্যাপক মোবালি আরও বললেন, “জাৰ্ম্মাণ অয়কেন ও নির্টসে ফরাসী মেটারলিঙ্ক ও বার্গসো, ইত্যাদি চিন্তাধারগণ সকলেই নূ্যনাধিক পরিমাণে অতীন্দ্ৰিয় জগতের বাৰ্ত্তা আনিয়াছেন- সকলেই ভাবুকতা, আদর্শবাদ ও অধ্যাত্মতত্ত্বের পৃষ্ঠপোষক । ইংলেণ্ডেও এই চিন্তাপ্ৰণালী প্ৰবেশ করিতেছে। সেদিন আপনাদের ঠাকুরও এই চিন্তাশ্ৰোত পুষ্ট করিয়া গিয়াছেন। গত বৎসর ঠাকুরের কাব্য মাসিকপত্রে প্রায়ই আলোচিত হইয়াছে। ইংলণ্ডের চিত্মমণ্ডলে এক্ষণ অধ্যাত্মতত্ত্বের যুগ চলিবে ।”