পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২১৬

R OR दéभांना स्त्र १९ সন্ধ্যাকালে মডলিন ( Magdalene ) কলেজের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত ওয়েবের গৃহে চা-পানের নিমন্ত্রণ ছিল । চারওয়েল নদীর উপর তাহার গৃহ। এই গৃহে পূর্বে একটা কল ছিল। স্রোতস্বতী ঘরের নিম্নভাগ দিয়া প্রবাহিত । ইহঁর ফুলবাগানের পাশ্বেই নদীর প্রপাতি-জলপতনের ঝরে ঝর শব্দ সর্বদা প্রতিদান করে। নদীকে বাগানের একটা খাত বা জলযুক্ত নর্দমা বলিলেও কোন দোষ হইবে না । এই জলপ্রপাতের মধুর সঙ্গীত শুনিতে শুনিতে অধ্যাপকপত্নী ও অধ্যাপকের সঙ্গে প্ৰায় ১ ঘণ্টা কথাবাৰ্ত্ত হইল। আমি বলিলাম, “অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুদর্শনের আলোচনা হওয়া আবশ্যক। এখন এখানকার দার্শনিকের হিন্দুতত্ত্ব কিছুই জানেন না । এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষীয়দিগের দৃষ্টিপাত করা কীৰ্ত্তব্য।” ওয়েব বলিলেন “কিছুকাল, পূর্বে দার্শনিকমহলে একটা হুজুগ উঠিয়াছিল যে, গ্ৰীকদর্শনবাদ অনেকটা হিন্দুদর্শনবাদের উত্তরাধিকারী । এক্ষণে সে হুজুগ আর নাই।” আমি। বলিলাম, “হিন্দুদর্শন গ্রীকদর্শনকে প্রভাবান্বিত করিয়াছিল কি না, তাহা প্ৰথমেই স্বীকার করিয়া লইবার প্রয়োজন নাই । কে কাহার নিকট gYSuDD LDBBD BDBBBDSKKBDD DBDBBBBDS DDDDSS SDi ইহাই ত বিদ্যারাজ্যের একমাত্ৰ আলোচনা-প্ৰাণালী নয় ! কে আগে কে পরে, কে নকল করিয়াছে, কে সৃষ্টি করিয়াছে, এই সকল প্রশ্নের মীমাংসা ছাড়াও অন্য প্রকার সমস্যার মীমাংসা করা যাইতে পারে। চীনাদর্শন, হিন্দুদর্শন, মুসলমানদর্শন, গ্রীকদর্শন, আধুনিক জাৰ্ম্মাণদৰ্শন-ইত্যাদি জগতের সকল প্রকার দর্শনই দেশে দেশে যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা। হইতে উদ্ভূত হইয়া ভিন্ন ভিন্ন মানবাদর্শ স্বষ্টি করিয়াছে। এই আদর্শসমূহ ও এই মতবাদসমূহ তুলনা করিয়া দেখা বিদ্বন্মণ্ডলীর কৰ্ত্তব্য নহে কি ? পরস্পরের সাম্য ও বিভিন্নতা বিশ্লেষণ করা দর্শনালোচনার অন্যতম প্রধান