পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্সফোডো সংস্কৃত ও আরবী সাহিত্য RY \ বা সংযোগ আছে কি ?” মারগোলিয়থ বলিলেন, “না। এই যুগের আরবআধ্যাত্মিকতা এবং হিন্দু আধ্যাত্মিকতা দুই সম্পূর্ণ বস্তু। হিন্দু ভাবুকতার সৃষ্টি হইয়াছে অন্তর্জগতের সূক্ষ্ম বিচার করিয়া । আরব দার্শনিকেরা এরূপ অন্তমুখী হইয়া চিৎক্ষেত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করিতেন না। তাহারা বুঝিতেন যে, আল্লা ভিন্ন কোন ঈশ্বর নাই। এই তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করিতে যাইয়াই তাহারা আধ্যাত্মিকতা প্ৰবৰ্ত্তিত কুরিয়াছিলেন। কিন্তু হিন্দুরা মায়াবাদের প্ৰবৰ্ত্তক। সংসার ও স্থলজগতের অতিরিক্ত আর একটা জগতের অস্তিত্ব তাহদের চিন্তা রাজ্যে সর্বদা বর্তমান ছিল । সেই জগতই সত্য, দৃশ্যমান জগৎ অলীক। এই মায়াতত্ত্ব হইতেই হিন্দুর ভাবুকতা ও আধ্যাত্মিকতার বিকাশ ।” মারগোলিয়থ গ্ৰীক ভাষা এবং সংস্কৃত ভাষার তুলনামূলক আলোচনা করিতেছেন। ইহঁর মতে, “দুই ভাষার শব্দতত্ত্ব একরূপ, ব্যাকরণঘটিত সাদৃশ্যও কিছু আছে। কিন্তু মৌলিক ভিত্তি একরূপ হইলেও তাহার উপরকার বিকাশ দুই ভিন্ন রীতিতে সাধিত হইয়াছে।” অক্সফোর্ডের ধন-বিজ্ঞানাধ্যাপক এজওয়ার্থের সঙ্গে আজ সন্ধ্যাকালে আলাপ হইল। ইনি অলসোলস কলেজের গৃহে বাস করেন। কেন্থিজের মার্শাল ও ক্যানিংহাম, এডিনবারার নিকলসন এবং অক্সফোর্ডের এজওয়ার্থ বিলাতী ধনবিজ্ঞান মহলে সর্বপ্রসিদ্ধ। তন্মধ্যে মার্শ্যাল এবং এজোয়ার্থই বিজ্ঞতম এবং প্রবীণতম । এজওয়ার্থ ভারতীয় বৈষয়িক তথ্য সম্বন্ধে নিতান্তই অনভিজ্ঞ। ঐ সকল বিষয় আলোচনা করিবার জন্য তঁহার সময় ও উৎসাহ কিছুই দেখিতে পাইলাম না। বয়সও অত্যধিক হইয়াছে। সুতরাং নৃতন দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিবার প্রবৃত্তি আর নাই ।