পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRV বৰ্ত্তমান জগৎ নায়ক প্ৰধান। বিশ্ববিদ্যালয়ের “অধ্যাপকগণ” বক্তৃতা পাঠ করেন মাত্র } তাহাদের সঙ্গে ছাত্রদিগের শিক্ষার কোন সম্বন্ধ নাই। সেইরূপ নিম্নবিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাশয়গণ লেখাপড়া শিখাইয়া থাকেন মাত্ৰ । কিন্তু বালকগণের জীবন গঠন করেন ছাত্রনায়ক । এক একটি বিদ্যালয় এইরূপ যথার্থ স্বায়ত্ত্বশাসন-নিয়ন্ত্রিত প্ৰতিষ্ঠান । লীসবিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ সুবিস্তৃত । হকি, ক্রিকেট, ফুটবল, ইত্যাদি নানা প্রকার খেলার উপযুক্ত ময়দান আছে। সাইকেল চড়া অভ্যাস করার জন্য মাঠের ভিতর দিয়া রাস্তা আছে। বন্দুকের গুলি ছোড়া এবং হাতের লক্ষ্য ঠিক করা শিখিবার জন্য ব্যবস্থা আছে। তাহা ছাড়া একটা বড় ঘরের ভিতর গভীর জলাশয় দেখিলাম। এই জলাশয়ে নদীর জল আসিয়া বাহির হইয়া যায় । ইহার মধ্যে পঞ্চাশজন বালক এক সঙ্গে সুন্নান করিতে পারে । সাতার দিতে . শিক্ষা করা এখানকার ছাত্রদের অবশ্য কৰ্ত্তব্য। জলে ডুবিয়া গেলে কিরূপে লোককে রক্ষা করিতে হয় তাহা ও ছাত্রের শিক্ষা করে । এই সকল বিষয়ে ছাত্রগণকে বিশেষ মনোযোগী করা হয়। এতদ্ব্যতীত একটা ব্যায়াম-গৃহও দেখিলাম। তাহাতে সাধারণ জিমনাষ্টিকসের সরঞ্জাম রহিয়াছে। পরীক্ষার চাপ এখানে বড় বেশী নাই। এমন কি সর্বোচ্চশ্রেণী ত্যাগ করিয়া যাইবার সময়েও কোন ছাত্রকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় না। যে সকল ছাত্র অক্সফোর্ড, কেম্বিজ বা লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি হইতে চাহে তাঁহাদের জন্য সেই সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা লাওয়া হয় । সাধারণতঃ ১৫২০ জন ছাত্ৰ প্ৰতিবৎসর এইরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিয়া থাকে। লীসবিদ্যালয়ে ১৪ হইতে ১৯ বৎসর বয়স্ক বালকগণকে গ্ৰহণ করা হয় । ইহার পূর্বে তাহারা নিম্নতম পাঠশালায় শিখিয়া আসে। সর্বোচ্চ